পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ ミ○ぶ。 “বাবা, কাহাকে ডাকিতেছ, পুরোহিতকে ? সে ত এইমাত্র আরতি করিয়া গিয়াছে, আবার ভোগের সময় আসিবে ” “গোবিন্দ, এ কি ছলনা ! বিশ্বস্তর, গৌড়ে ফিরিতে চাহি না, সুখ চাহি না, সম্পদ চাহি না, এই মূঢ়া বালিকাকে সত্বর বিরহব্যাকুল স্বামীক্রোড়ে ফিরাইয়া দাও।” “বাবা, গোবিন্দ কে ?” “যিনি এই পৃথিবীর চিত্তবিনোদ করেন, যিনি স্বষ্টিস্থিতি ও লয়ের একমাত্র কারণ, তিনিই গোবিন্দ ।” “অত কথা বলিলে বুঝিব কেমন করিয়া ?” “মা, চিত্ত স্থির কর, অবশ্যই বুঝিতে পরিবে।” “বাবা, তোমার গোবিন্দ দেখিতে কেমন ?” “মা, তিনি বহুরূপী ” “তুমি বেশী কথা বলিও না, আমি বুঝিতে পারিব না।” “হে মধুসূদন, সঙ্কর্ষণ, নারায়ণ, অনাথ আশ্রয়হীনা বালিকার প্রতি কৃপাদৃষ্টি কর ” “বাবা, তোমার গোবিন্দের কি ভাল নাম নাই ?” “আছে মা, গোপাল, কৃষ্ণ, তাঙ্গর কি নামের সংখ্যা আছে ?” “এই নামটা এতক্ষণ বল নাই কেন ? গোপাল দেখিতে কেমন ?” “ম, কাল যে রাখাল-বালককে মুক্তি দিয়াছ তাঙ্গরই মত ” “সে বড় সুন্দর, তাহার চক্ষুভরা জল দেখিয়া আমার চক্ষেও জল আসিয়াছিল । বাবা, তোমার বাসুদেব, সঙ্কর্ষণ ভাল নাম নয়, গোপাল বড় সুন্দর।” “মা, সত্য সত্যই গোপাল বড় সুন্দর, বহুরূপী নারায়ণের যে রূপ তোমার মনে লাগে, সেইরূপ চিন্তা কর, এই দুস্তর বিপদসাগরে মধুস্থদন ভিন্ন অন্য গতি নাই ।” “মধুস্থদন কি করিবে ?” “ঘেদিন তাহার দয়া হইবে, সেইদিন তুমি ভালুমিত্রের নিকট উপস্থিত হইবে।” “ভানুমিত্র কে ? আমি তাহার নিকট যাইব না।” “মা, অন্ত চিন্তা ত্যাগ কর, গোপালকে স্মরণ কর।” “কেমন করিয়া স্মরণ করিব বাবা ?” “কালিকার সেই রাখাল-বালককে স্মরণ কর।” “তোমার মত চক্ষু মুদিলে আমার কোন কথা মনে আসে না।” “যেমন করিলে মনে আসে তেমন করিয়াই চিস্তা কর ” “আমার কি মনে হয় জান ?” “বল ?” “মনে হয় চারিদিক হইতে কত লোক