পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ8 Հ করুণা “আমি—আ-মি-চ—ন্দ্রসেন।” “তুই নিশ্চয় প্রতারক ?” “না বাবা না।” “তুই বলিয়াছিস্ যে, তুই গুপ্তসাম্রাজ্যের মহাবলাধিকৃত ?” “না বাবা, আমি বলি নাই ।” একজন অশ্বারোঙ্গী বলিয় উঠিল, “মহারাজ, এই ব্যক্তি শিবিক। হইতে বলিয়াছিল যে, সে কুমারপার্দীয় ভট্টারক মঙ্গবলাধিকৃত।” “আমার নিকট মিথ্য বলিতেছিস্ ?” “না বাবা—ই - ন - তা– ই – বলিয়াছি।” “তুই কেমন করিয়া মহাবলাধিকৃত হইয়াছিলি ?” “আমি হই নাই বারা—আমি হই নাই,—আমি কি ইচ্ছা করিয়া সাধের পাটলিপুত্ৰ ছাড়িয়া আসিয়াছি ?” “তবে কে তোকে মহাবলাধিকৃত করিয়াছে ?” “ইন্দ্ৰলেখা ; তাহার বড় সাধ ছিল বুড়া মরিলে আমাকে লইয়া আর্য্যপট্রে বসিবে। ইন্দ্রলেখে, তোর মনে এই ছিল ” “ইন্দ্রলেখ কৈ g" “কুমারগুপ্তের শাশুড়া।” “তোর কে ?” “আমার—আমার—কেহ না । বাবা।” “তবে সে তোকে মহাবলাধিকৃত করিল কেন ?” “ত।--তঃ– সে ই জানে।” “তুই জানিস্, মহারাজপুত্র গোবিন্দ গুপ্ত কোথায় ?” “পাটলিপুত্রে গিয়াছে ” “কপিশায় কে সেনাপতি ছিল ?” “অ - আ—মি—” “যুবরাজ স্কন্দগুপ্ত কোথায় ?” “বাস্থলীকে, কারাগারে ।” “কারাগারে ! কেন ?” “আমার আদেশে ” “গৌড়ীয় ভামুমিত্র কোথায় ?” “স্কন্দের নিকট কারাগারে।” “তাহা আমরা বুঝিয়াছিলাম, বাহারা বাহুলীকাতীরে অথবা বক্ষুতীরে মাগধ-সেনা চালন করিয়াছিল, তাহার এবার বাহলকে কপিশায় বা গন্ধারে ছিল না । আমরা যখন কপিশা আক্রমণ করিয়াছিলাম তখন তুমি কোথায় ছিলে ?” “সিন্ধুদেশে ” “কপিশায় সেনাপতি কে ছিল ?” “কেহ না।” “তবে তুমি কি করিতে আসিয়াছিলে ?” “ইন্দ্ৰলেখার অনুরোধে স্কন্দগুপ্তকে বন্দী করিতে।” “যুদ্ধ করিবে কে ?” , “জানি না বাবা, যুদ্ধ টুদ্ধ আমার কার্য্য নহে। বিশেষতঃ ষে দেশে গোড়ী পাওয়া যায় না, সে দেশে কি চন্দ্রসেন টিকিতে পারে ?”