পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ર (t8 করুণা যাত্ৰিগণের অনুগমনে প্রস্তুত হইল। যখন তরুণ তপনের তেমাভ কিরণে শিশিরসিক্ত তরুশির সুবর্ণরঞ্জনে রঞ্জিত হইল তখন স্কন্দগুপ্ত বিস্মিত হইয়া দেখিলেন, সহস্র সতস্র পদাতিক, সহস্ৰ সহস্ৰ অশ্বারোহী, শত শত হস্তী ও রথ শতদ্রুবক্ষে শুষ্ক সৈকতে সুসজ্জিত হইয়া দাড়াইয়া আছে, দুইজন বৰ্ম্মারত যোদ্ধা শ্বেত অশ্বে আরোহণ করিয়া তাঙ্কার দিকে অগ্রসর হইতেছে । যুবরাজের বদনমণ্ডল গম্ভীর হইল, তিনি বজ্রনাদে বলিয়া উঠলেন, “বন্ধুগণ, তৃণসেনা দূত প্রেরণ করিতেছে, হুণরাজ আমাদিগকে বন্দী করিতে, চাহে, প্রস্তুত হও ।” দ্বিসহস্র সেন তারস্বরে স্বরাজের জয়ধ্বনি করিয়া উঠিল, তাঙ্গ শুনিয়া অন্ধপথে অশ্বারোক্টৗদ্ধয় অশ্বের গতি সংঘাত করিল। জয়ধ্বনি উচ্চারিত হইবার পূৰ্ব্বে একজন অশ্বারোঙ্গ অপরকে কহিতেছিলেন, “কৃষ্ণ, এ কাহার সেনা, এ কি হণসেনা ? মনে হইতেছে গরুড়ধ্বজ দেখিতে পাইতেছি ।” দ্বিতীয় অশ্বারোক্ট কঠিল, “অসম্ভব মহারাজ, এখন আর শতদ্রুর পরপারে গরুড়ধ্বজ স্থাপন করিবে কে ?” “সত্য কৃষ্ণ অসম্ভব, যদি স্কন্দ থাকিত, যদি প্রথম অভিযানের সেন থাকিত, তাহা হইলে সম্ভব হইত।” এই সময়ে চক্রবৃহ হইতে জয়ধ্বনি উচ্চারিত হইল, অশ্বারোঈদ্বয় গতি সংযত করিলেন, কম্পিতকণ্ঠে গোবিন্দ গুপ্ত বলিয়া উঠিলেন, “কৃষ্ণ, এ যে আর্য্য-ভাষা--স্কন গুপ্তের নাম - নিশ্চয় মাগধ-সেনা-অসম্ভব সম্ভব হইয়াছে—পুত্র আমার আর্য্যাবৰ্ত্ত পরিত্রাণ করিয়াছে।” শুভ্র বনায়ুজ তাঁরবেগে চক্রব্যুহের দিকে অগ্রসর হইল, কৃষ্ণ গুপ্ত স্তম্ভিত হইয়া দাড়াইয়া রছিলেন, বৃষ্ঠের নিকটে আসিয়া গোবিন্দগুপ্ত জিজ্ঞাসা করিলেন, “কুমারগুপ্তের জয় झडेरू, তোমরা কাহার সেনা ?” প্রচাত্তরস্বরূপ দ্বিসহস্ৰকণ্ঠ হইতে যুবরাজ স্কন্দগুপ্তের নাম উচ্চারিত হইল।