পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२d br করুণা যাহা করিতে আসিয়াছি তাহা করিব, তোমার জন্ত মরিতে আসিয়াছি মরিব । তুমি যাহা বলিবে তাহাই হইবে। হর্য। আর্য্য, আমাকে বক্ষুতীরে রাখিয়া গেলে আমি বিদ্রোহী হইব । 第 বন্ধু। যুবরাজ, স্মরণ রাখিও আমি মধ্যাহ্নভোজনের নিমন্ত্রণে বক্ষুতীরে আসি নাই । চক্র, আমি অশ্বারোই সৈন্তের নায়ক, যুবরাজ, তীর্থরক্ষা চক্রপালিতের পক্ষে অসম্ভব । আদিত্য। আমি ও চন্দ্ৰধর স্থির করিয়াছি, আমাদিগকে বক্ষুতারে রাখিয়া গেলে লুকাইয়া হণদেশে যাইব । স্কন্দ । আর্য্য, ইহারা তরুণ কেহই থাকিতে চাহে না, বক্ষুতীর্থ, বাহলীক ও কপিশা রক্ষার ভার আপনার হস্তে অৰ্পণ করিলাম । কৃষ্ণ । যুবরাজ-আমার হস্তে ? ক্ষমা কর স্কন, মগধ-সাম্রাজ্যে কৃষ্ণগুপ্তের স্থান নাই, বৃদ্ধ সেইজন্ত কপিশায় মরিতে আসিয়াছিল। হয় ত বক্ষুর পরপারে শমনদর্শন মিলিতে পারে, বৃদ্ধকে কেন বঞ্চিত করিবে ? স্কন । আৰ্য্য, হ্ৰণযুদ্ধ শেষ হয় নাই, হেমন্তে আবার যুদ্ধ আরম্ভ হইবে, শমনদর্শনের অভাব হইবে না । কৃষ্ণ । পুত্র, তোমারই ইচ্ছা পূর্ণ হউক । এই সময়ে একজন দণ্ডধর বস্ত্রাবাসে প্রবেশ করিয়া যুবরাজকে অভিবাদন করিল এবং কহিল, “দেব, গৌড়, মাগধ, মালব ও সৌরাষ্ট্রের সেনাদলের একজন প্রতিনিধি যুবরাজের দর্শনপ্রার্থনা করে।” মন্ত্রণ শেষ হইয়াছিল, যুবরাজ কহিলেন, “অপেক্ষা করিতে বল আমি আসিতেছি।” পরক্ষণেই সকলে বস্ত্রাবাস ত্যাগ করিয়া বহির্দেশে আসিলেন, সৈনিকচতুষ্টয় তাহাদিগকে অভিবাদন করিল, স্কন্দগুপ্ত জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমরা কি চাহ ?” সৈনিকচতুষ্টয় কছিল, “দেব, আমরা বিদ্রোহী।”