পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ ミ という ত এখনও দূর হয় নাই?” “শক্রর শেষ কি রাখিতে আছে, সেটাকে দূর করিতেছে না কেন ?” “সহজ কাজ নয় সই, স্বয়ং গোবিন গুপ্ত তাহার সহায় ।” “সই, সে ত তোমারই ?” “সে কথা বলিও না, মন্দমলয়ানিল এখন বিষধর সর্প হইয়াছে।” “তবে তাহাকেও দূর কর না কেন ?” “চেষ্টায় আছি, এখন ভগবান বুদ্ধের অনুগ্রহ ভরসা। হয় অনন্তার কণ্টক দূর করিব, না হয় মরিব ” “বুড়া কি বলে ?” “তাঙ্গর কি কোন কথা বলিবার ক্ষমতা রাখিয়াছি ? সে অনন্তার কায় উঠে বসে।” এই সময়ে আর একটি তরুণী সুন্দরী ক্রীতদাসী আসিয়া প্রথমাকে অভিবাদন করিয়া কহিল, “ভট্টারিকা, কুমারপার্দীয় সঙ্ঘস্থবির হরিবল আসিয়াছেন।” প্রথম রমণী কুসুমভারে শিথিল কবরী যথাস্থানে স্ত্যস্ত করিয়া তাহাকে কহিল, “এইখানে লইয়া আয় ।” দাসী অভিবাদন করিয়া প্রস্থান করিল, আর একজন ক্রীতদাসী একখানি সুখাসন লইয়া আসিল । তৃতীয়া ক্রীতদাসী রজতাধারে চন্দন, কুঙ্কুম ও গন্ধপুষ্পের মাল্য লইয়া আসিল, তখন সঙ্গস্তবদনে শুভ্রশীর্ষ সজঘস্থবির সেই স্তানে উপস্থিত হইলেন। তাঙ্গকে দেখিয়া ইন্দ্রলেখা হাসিয়া কঠিল, “কি গো রসিকরাজ, মুখে যে হাসি ধরে না ?” বৃদ্ধ সঙ্ঘস্থবির কহিলেন, “অমৃতের উৎস দর্শনে শুষ্ক তরু পল্লবিত হইয়াছে।” কৃত্রিম ক্রোধের ভান করিয়া ইন্দ্ৰলেখা কহিল, “আমি কি এতই কুৎসিত যে আমাকে বাঙ্গ করিতেছ?” “তোমাকে কি ব্যঙ্গ করিতে পারি ইন্দ্রলেখে ? তারা মঞ্জুত্র ভুলিয়া তোমার নাম জপ করি।” * “যাও, তোমার মিষ্টি কথায় কাজ নাই। আমি কুৎসিত, আমি বুড়া, আমার নিকট কেন ? নবযৌবনভারে অবনমিতদেহ তীর নিকটে যা ও ” বৃদ্ধ সঙ্ঘস্থবির প্রৌঢ় গণিকার পদপ্রান্তে নতজানু ইয়া যুক্তকরে কহিল, “দেবি, রাতুল চরণে কোন অপরাধ করি নাই, তথাপি কেন বিমুখ হইলে ?” তখন ইন্দ্ৰলেখা বৃদ্ধের হাত ধরিয়া উঠাইয় তাহাকে সুখাসনে