পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

이 이 করুণ। মণ্ডপে ও বেদির উপরে তিলমাত্র স্থান নাই | স্বৰ্গীয়া পটুমঙ্গদেবীর দেহত্যাগের পর নট ফন্তুঘশের কন্যাকে অভিবাদন করিবার ভয়ে সাম্রাজ্যের অভিজাত-সম্প্রদায় সভামণ্ডপ পরিত্যাগ করিয়াছিলেন । আজি তাতারা সুবরাজভটরিকের অভ্যর্থনা করিবার জন্ত নগরে ফিরিয়া আসিয়াছেন । তাঙ্গা দেখিয়া রোমে ও ক্ষোভে নবীন পট্টমহাদেবীর মুখমণ্ডল রক্তবর্ণ হইয়া উঠিয়াছে। প্রাসাদের চত্বরত্রয় ভূণবিজয়ী রাজপুত্রদর্শনলোলুপ জনসজেন পূর্ণ হইয়া গিয়াছে। কুমারগুপ্তের মালব ও সৌরাষ্ট্র অভিযানের বৃদ্ধ সেনাগণ মণ্ডপের চতুষ্পার্শে শ্রেণীবদ্ধ হইয়া দাড়া আছে। ধীরে ধীরে পঞ্চাশত সহস্ৰ অশ্বারো সমভিবাহারে হণবিজয়ী রাজপুত্র প্রাসাদসীমায় প্রবেশ করিলেন। হূণবিজয়ী সেনা প্রাসাদের অসংখ্য প্রাঙ্গণে শ্রেণীবদ্ধ হইয়া দাড়াইল । সভামণ্ডপের তোরণে অশ্ব পরিত্যাগ করিয়া যুবরাজ সঙ্গিগণের সহিত মণ্ডপে প্রবেশ করিলেন । মগুপের বাহিরে ও ভিতরে জনসঙ্ঘ জয়ধ্বনি করিয়া উঠিল ; সম্রাট কুমারগুপ্ত সিংহাসন ত্যাগ করিয়া দাড়াইলেন, সঙ্গে সঙ্গে মণ্ডপের সকলে আসন ত্যাগ করিলেন । সহস অস্ত্রের ঝঞ্চন শ্রত হইল। সভাসদগণ বিস্মিত হইয়া দেখিলেন, নবীন ও প্রবীণ অভিজাত সম্প্রদায় কোষমুক্ত আসি শিরস্ত্রাণে স্পর্শ করাইরা হণবিজয়ী যুবরাজভট্টারককে অভিবাদন করিতেছেন ; তৎক্ষণাং যুবরাজ ও তাহার সঙ্গিগণের অসি কোষমুক্ত হইল, ফলক সশব্দে শিরস্ত্রাণ চুম্বন করিল, স্কন্দ গুপ্ত কোষমুক্ত অসিহস্তে আৰ্য্যপট্রের দিকে অগ্রসর হইলেন । বেদীর সম্মুখে দাড়াইয়া স্কন্দগুপ্ত পুনৰ্ব্বার অসি শিরস্ত্রাণে স্পর্শ করাইলেন এবং তাহা বেদীর উপরে পিতার চরণপ্রান্তে স্থাপন করিলেন। সাশ্রনয়নে বৃদ্ধ সমাট তাহা গ্রহণ করিয়া উষ্কাষে স্পর্শ করাইলেন এবং তাহা পুত্রের হস্তে প্রত্যৰ্পণ করিলেন। তখন পরমেশ্বর পরমবৈষ্ণব যুবরাজভট্টারক স্কশগুপ্ত আৰ্য্যপট্রের সম্মুখে নতজানু হইয়া পিতাকে প্রণাম করিলেন।