পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭২ করুণা না, তবে আমাকে কি জন্ত আৰ্য্যপটে স্থাপন করিয়াছিলে ?” বৃদ্ধ সম্রাট নিরুত্তর । দ্বিতীয়বার অধিকতর বেগে সম্রাটের বস্ত্রাকর্ষণ করিয়া অনস্তা কহিল, “শাস্ত্র বল, কেন আমাকে বার বার অপমান করিতেছ।” সম্রাট তথাপি নিরুত্তর । তপন অব গুণ্ঠনশুন্য উন্মত্তা যুবতী বৃদ্ধ স্বামীর হস্তাকর্ষণ করিয়া কঠিল, “তোমার পুত্র বিদ্রোহী—তাঙ্গর দগুবিধান কর, নতুবা আমি উদ্বন্ধনে প্রাণত্যাগ করিব ।” দণ্ডের কথা শুনিয়া অভিজাত সম্প্রদায় গর্জন করিয়া উঠিল । হস্তচীন বন্ধুবন্মা বামহস্তে আসি কোমমুক্ত করিলেন, অলিন্দে শত শত অসির ঝঞ্চন শত ভইল । তখন নটকন্যা বিপদ বুঝিয়া সভামণ্ডপ হঠতে পলায়ন করিল। আকুলকণ্ঠে-–“অনন্ত অনন্তা” বলিয়া ডাকিতে ডাকিতে বৃদ্ধ সমাঢ় তাঙ্গর অনুসরণ কবিলেন । তখন দামোদর শর্ম ঈষৎ হাস্ত করিয়া স্কন্দ গুপ্তকে কছিলেন, “ভাই ! প্রাসাদে থাকি ও মা, তোমরা আমার আবাসে চল ।” চতুর্দশ পরিচ্ছেদ - :-4 ఫిష్లో-థ్రఫీ-ళీక్షణా দেবকুলে অরুণোদয়ের পুৰ্ব্বে যুবরাজ স্কন্দগুপ্ত মহামন্ত্রীর আবাস হইতে নিৰ্গত ভূইয়া রাজপথে আসিয়া দাড়াইলেন, জনৈক অশ্বসাদী সুসজ্জিত শুভ্র বনাযুজ অশ্ব লইয়া আসিল । স্কন্দগুপ্ত অশ্বপৃষ্ঠে আরোহণের উদ্যোগ করিতেছেন, এই সময়ে দ্বিতলের একটি বাতায়নপথ হইতে বন্ধুবৰ্ম্ম জিজ্ঞাসা করিলেন, “যুবরাজ, প্রত্যুষে কোথায় যাইতেছ, প্রাসাদে ?” যুবরাজ হাসিয়া কহিলেন, “বন্ধু, যখন প্রাসাদে যাইব, তখুন সকলকে বলিয়া