পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ পরিচ্ছেদ ՀԳ:Տ সহসা রুদ্ধশ্বাস প্রবাহিত হইল, কণ্ঠস্বর দৃঢ় হইল, অরুণা কহিলেন, “চিত্ত স্থির কর যুবরাজ-আমি অস্পৃষ্ঠা—দেখিতেছ না গৈরিক ধারণ করিয়াছি ? এই উদ্যান পবিত্র স্থান, ইহা বাসুদেবের সম্পত্তি ।” বিস্মিত হইয়া যুবরাজ জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি আমার অস্পৃষ্ঠা ! কেন, অরুণ ?” অরুণ কছিলেন, “কিছুই কি শুন নাই যুবরাজ ?” “সমস্তই শুনিয়াছি। কিন্তু তথাপি তুমি কেন আমার অস্পৃহা হইবে ? তরুণ বয়সে . কেন গৈরিক ধারণ করিলে অরুণ ?” “যুবরাজ, মহাদেবী স্বৰ্গারোহণ করিলে, দেবভোগা বসুন্ধরা পবিত্র মগধভূমি যখন পিশাচের লীলাস্তল হইল, পরমভট্টারিক স্বৰ্গীয় ধ্রুবস্বামিনীর প্রাসাদে সামান্ত গণিকার জার যখন দিবালোকে আমার হস্তধারণ করিল, তখন পিতৃপুণাবলে আত্মরক্ষা করিয়া প্রাসাদ পরিত্যাগ করিলাম । তৃতীয় তোরণের পারে গুরুদেব আমার প্রর্তীক্ষায় উপবেশন করিয়াছিলেন, তাঙ্গর সঠিত এই মঠে আসিয়াছি, তাহার নিকট দক্ষিণ গ্রহণ করিয়াছি, তাঙ্গরই আদেশে দেহ মন প্রাণ চতুভূজ শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্মধারী বাসুদেবের চরণে অর্পণ করিয়াছি, গৈরিক ধারণ করিয়াছি । তদবধি সন্ন্যাসিনী হইয়া এই মঠে বাস করিতেছি।” যুবরাজ সহসা ভূমিতে উপবেশন করিলেন, কাতরকণ্ঠে উচ্চারিত হইল, “অরুণ!” অরুণা কহিলেন, “যুবরাজ, অপরাধ ক্ষমা করি ৪, তোমার সেবায় উৎসর্গীকৃত দেহ বেশুাজারের কলুষিত করম্পর্শ তহঁতে রক্ষা করিবার জন্য বাসুদেবের চরণে অৰ্পণ করিয়াছি । শুনিয়াছিলাম, সুদূর কপিশার স্বদেশ ও স্বধৰ্ম্ম রক্ষার্থ-দেবতা আমার, তুমি নশ্বর দেহ উৎসর্গ করিয়াছ,—সেই অবধি বৈধব্য-ব্রত গ্রহণ করিয়াছি । দীক্ষা গ্ৰহণ করিয়া কখনও চিত্ত স্থির করিতে পারি নাই। গুরুদেবকে বলিয়াছিলাম যে, আমি তোমার বাগদত্তা পত্নী, বাসুদেবকে খান করিতে সদা চিত্তপটে তোমার দেবদুল্লভ মূৰ্ত্তি উদয় হয়, আমি অবলা নারী, চিত্ত