পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հեr8 করুণা পরাষ্টয়া দিলেন। তখন অরুণা কছিলেন, “দেবতা একটি প্রার্থনা আছে ” যুবরাজ সঙ্গন্তবদনে কঠিলেন, “তোমাকে কি অদেয় আছে অরু ?” “যদি কথন শুনি যে তুমি—” “যদি আমি মরি ?” “অল্পমতি দাও, চিতাশষ্য গ্রহণ করিব ” “করি ও ” 爱 এই সময়ে একজন সন্ন্যাসী আসিয়া কঠিল, পাটলিপুত্র হইতে এক জন অশ্বারো আসিয়াছে, সে এই অঙ্গুরীয়ক যুবরাজের হস্তে প্রদান করিতে কহিয়াছে। যুবরাজ অঙ্গুরীয়ক গ্রহণ করিয়া শিহরিয়া উঠিলেন। অমঙ্গল আশা করা অরুণদেবী দগুপ্তের হস্তধারণ করিয়া জিজ্ঞাসা করলেন, “কি হইয়াছে ?” সুবরাজ অন্তমনস্ক হইয়া কহিলেন, “অমঙ্গলের স্বচন, চল বাহিরে যাই।” সকলে মঠের বাহিরে আসিয়া দেখিলেন, একজন সুয়াপ্লয় অশ্বারোই মৃতপ্রায় অশ্বের বল্লাধারণ করিয়া দাড়াইয়া আছে । সে যুবরাজকে অভিবাদন করিয়া কঠিল, “কুমার, হর্ষগুপ্ত অঙ্গুরীয়ক প্রেরণ করিয়াছেন, তিনি বলিয়া দিয়াছেন যে, বিষম অনর্থ ঘটিল্পাছে ! মহামন্ত্রী মহারাজাধিরাজের আদেশে মণ্ডলায় গিয়াছেন। আপনি কল্য প্রথম প্রহরে সভামণ্ডপে উপস্থিত না হইলে বিষম বিপদ হইবে।” স্কন্দগুপ্ত জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি হইয়াছে, বলিতে পার ?" "না, দেব। তবে কুমার অত্যন্ত উত্তেজিত হইয়াছেন।” “হর্য পাগল। তুমি বিশ্রাম কর, আমি অপরাহ্লে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিব।” অপরাহ্লে অরুণা ও স্কন্দগুপ্ত মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করিলেন, বন্ধুবৰ্ম্ম মণ্ডপে প্ৰতীহার স্বরূপ দাড়াইয়া রহিলেন । গর্ভগৃহে প্রবেশ করিয়া যুবরাজ কহিলেন, “আধার বিদায়।” অশ্র-অন্ধ নয়নদ্বয় গোপন করিবার জন্য অরুণা মস্তক অবনত করিলেন। যুবরাজ কহিলেন, “অরু, কখনও তোমাকে স্পর্শ করি নাই, আজি করিব ?” অরুণ ধীরে ধীরে অগ্রসর হইলেন । বহুক্ষণ পরে আলিঙ্গনপাশ ছিন্ন করিয়া উভয়ে বাহিরে আদিলেন। যুবরাজ নিজ অঙ্গুলি হইতে হীরকাঙ্গুরীয়ক গ্রহণ করিয়া