পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રતૈ૭ જ করুণ মদিরাবিহবল মদনিক শিবিক পরিত্যাগ করিয়া বান্তিরে আসিল, তাহাকে দেখিয়া নাগরিকগণ ভরে দূরে সরিয়া গেল, সে দেবধরের দিকে অস্থির গতিতে অগ্রসর হতে ইষ্টতে কঠিল, “তুষ্ট কি মনে ভাবিয়াছিস্ ? و اُ তোর কি প্রাণের ভয় নাই ? জানিস তোকে কুকুর দিয় খাওয়াইতে পারি ?” দেবধর ধীরে ধীরে কঠিলেন, “যদি মঙ্গল চাহ, তাহ হইলে পথ ছাড়িয়া দূরে সরিয়া যাও ” “পথ কি তোর পিতার সম্পত্ত্বি ?” “দেখ মনিক, আসব পান করিয়া তোমার বুদ্ধি লুপ্ত হইয়াছে, সরিয়া যাও।” “আসব পান করিয়া তোর পিতামষ্টার বুদ্ধি লোপ হইয়াছিল।” “তুই সামান্ত গণিকা, সাবধান ।” “তোর মাতা বেশু, পিতামই বেণ্ড । প্রপিতামহী বেগুণ। আমি গণিকা ?” I দেবধরের পশ্চাৎ হইতে একজন বাহক মদনিকাকে আক্রমণ করিয়! তাহাকে ভূমিতে পাতিত করিল। মদনিকার প্রতাহারগণ বাহককে আক্রমণ করিল, তখন নিরস্ত্র বাহকগণের রক্ষার্থে দেবধর অসি কোষমুক্ত করিলেন । দণ্ডধর ও প্রতাহারগণ সশস্ত্র, বাহকগণ নিরস্ত্র, মুহূৰ্ত্তমধ্যে তাহারা পরাজিত হইল। দেবধর তাহাদিগের সম্মুখে দাড়াইয়া মদানকার অনুচরগণকে বাধা দিতেছিলেন, তাহা দেখিয়া সকলে তাহাকে আক্রমণ করিল। অস্ত্রচালনা দেখিয়া পথ জনশূন্ত হইয়াছিল, বিংশতিজন দণ্ডধর ও প্রতীহার সহায়হীন দেবধরকে আক্রমণ করিল এবং দূরে দাড়াইয় গণিকা মদনিক তাহাদিগকে উৎসাহ দিতে লাগিল। দেবধর বিপদ বুঝিয়া এক অট্টালিকার প্রাচীরে পৃষ্ঠরক্ষা করিয়া আত্মরক্ষার উন্থন করিতেছিলেন, বাহকগণ পলায়ন করিয়াছিল। সহসা দূরে অশ্বপদশব্দ শ্রত হইল, মদনিকার অনুচরগণ ভীত হইয়া আক্রমণে বিরত হইল, পরক্ষণেই শতাধিক অশ্বারোহীর সহিত কুমার হর্ষগুপ্ত আসিয় তাহাদিগকে বেষ্টন করিলেন। মুহূৰ্ত্তমধ্যে দগুধর ও প্রতীহারগণ হত ও বন্দী হইল, মদনিক পলায়নের উদ্যম করিতেছিলেন, একজন অশ্বারোহী তাহার কেশাগ্র ধারণ করিয়া