পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ ミぶ)* হইয়াছিল, তিনি ধীরে ধীরে উভয় বাহু প্রসারণ করিলেন, ধবলদুহিতা পতির সহিত মিলিত হইলেন । নৰ্ত্তকীগণ মঙ্গলধ্বনি, করিয়া উঠিল, যোদ্ধগণ জয়ধ্বনি করিয়া উঠিল, বৃদ্ধ মহানায়ক মুখ ফিরাইয়া আশ্রমোচন করিলেন । 象 সশব্দে রুদ্ধদ্বার মুক্ত হইল, কুমার হর্ষগুপ্ত ঝটিকার দ্যায় দ্রুতবেগে প্রবেশ করিয়া মধ্যপথে স্তম্ভিত হইয় দাড়াইলেন, তাহ দেখিয়া ঈষৎ হাস্ত করিয়া দেবধর কহিলেন, “হর্ষ, আজি আমার বিবাহ।” হর্ষ গুপ্ত কিয়ংক্ষণ স্তম্ভিত হইয়া দাড়াইয়া রহিলেন, পরে ধীরে ধীরে ,কহিলেন, “দেবধর, আমার একটি ভিক্ষা আছে ?” প্রশান্তবদনে দেবধর কছিলেন, “ভাই তোমাকে অদেয় কিছুই নাই, কি চাহ বল ?” “দ্বিতীয় প্রহর পর্যান্ত অপেক্ষা করি ও ” “করিব।” “আমি স্বয়ং বাসুদেব মন্দিরে চলিলাম।” কুমার হর্য গুপ্ত দ্বিতীয়বার মণ্ডপ পরিত্যাগ করিলেন । পুনরায় নৃত্য-গীত আরম্ভ হইল, কস্তা জামাতা সুখাসনে স্থাপন করিয়া মহানায়ক জয়ধবলদেব দূরে আসন গ্রহণ করলেন । দেখিতে দেখিতে রজনীর প্রথম প্রহরদ্বয় অতিবাহিত হইল । নগরতোরণে দ্বিতীয় প্রহরের মঙ্গলবাদ্য বাজিয়া উঠিল, তাহ শুনিয়া দেবধর আসন ত্যাগ করিলেন । জয়ধবল জিজ্ঞাসা করিলেন, “পুত্র, সময় হইয়াছে ?” দেবধর কহিলেন, “হইয়াছে।” তখন বৃদ্ধ কটিবন্ধ হইতে তীক্ষুধার ছুরিকা গ্রহণ করিয়া কস্তার হস্তে দিয়া কহিলেন, “মাতা, কুলগৌরব রক্ষা কর।” সহাস্তবদনে ছুরিকা গ্রহণ করিয়া অমিয়াদেবী - হস্ত ও পদের শিরা কৰ্ত্তন করিলেন। দেবধর সেই ছুরিক গ্রহণ করিয়া নিজ হস্ত ও পদের ধমনী ছেদন করিলেন। তখন জনৈক বৃদ্ধ সৈনিক অগ্রসর হইয়া কহিল, “দেব, পরপারে প্রভুর সেবা আবশুক হইবে, আমরা ও স্বামিধৰ্ম্ম বিস্তৃত হই নাই ।” দেবধরের পাণ্ডুবৰ্ণ মুখে হাস্তের ক্ষীণরেখা দেখা দিল, তিনি কহিলেন, “স্বচ্ছন্দে।” ”