পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ ミQ・ নৃত্য দর্শন করিতেছিলেন, তাহাদিগের মধ্যে একজন জিজ্ঞাসা করিলেন, “কে ?” “আমি গোবিন্দ।” বক্তা ব্যস্ত হইয়া দাড়াইলেন, নৃত্য থামিয়া গেল । তিনি কছিলেন, “কে—গোবিন্দ ?” তুমি জলন্ধর হইতে কখন আসিলে ?” “এইমাত্র, প্রাসাদে মহারাজাধিরাজের সন্ধান না পাইয়া এখানে আসিয়াছি।” “চল — মই ।” এই সময়ে যে রমণী অলিন্দে দাড়াইয়াছিল, সে ব্যস্ত হইয়া কঙ্গে প্রবেশ করিয়া কঠিল, “সে কি মহারাজ, আজি অনন্তার অধিবাস, কালি বিবাহ, আপনি চলিয়া যাইবেন কি ? উৎসবের সমস্ত আয়োজন হইয়াছে, এখনই সমস্ত নৰ্ত্তকীরা আসিবে ” তাহার ইঙ্গিতে যুবর্তী আসিয়া সম্রাটের হস্তধারণ করিল। সম্রাট স্তির হইয়া দাড়াইলেন, তখন গোবিন্দ গুপ্ত ধীরে ধীরে সম্রাটের হস্ত হইতে সুবতার হস্ত খুলিয়া দিয়া তাহাকে দূরে ঠেলিয়া দিলেন এবং রমণীকে কহিলেন, মহারাজাধিরাজের বিবাহের আয়োজন প্রাসাদে হইয়া থাকে, নর্তকীর গৃষ্ঠে নহে। তুমি নৰ্ত্তকীগণকে লইয়া ধ্রুবস্বামিনীর প্রাসাদে মাইও ” রমণীর চক্ষুদ্ধয় জলিয়া উঠিল, সে চীৎকার করিয়া বলিয়া উঠিল, “মহা রাজাধিরাজ, আপনি ইঙ্গর সহিত ঘাইবেন না, তাহা হইলে কল্য বিবাহ হইবে না ।” তাহার পরে গোবিন্দ গুপ্তের দিকে চাহিয়া ইতর ভাষায় বলিল, متہ ---- ٤٤ তুই কে ? কোন সাহসে, বিনা অনুমতিতে আমার গৃহে প্রবেশ করিয়া ছিস্ । জানিস, এখনই তোকে কুকুর দিয়া খাওয়াইতে পারি?” মঙ্গরাজপুত্র ঈষৎ হাসিয়া কছিলেন, “প্রিয়ে, এত প্রেম একেবারে ভুলিয়া গেলে ? সামি যে মন্দ-মলয়ানিল, যাঙ্গকে একদণ্ড না দেখিলে বিরহে অধীরা হইতে এবং যাহাকে পরিত্যাগ করির ফন্তুঘশের সহিত পলায়ন করিয়াছিলে । আমার নাম গোবিন্দ গুপ্ত, আমি দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের পুত্র, সুতরাং আমাকে কুকুরের মুখে নিঃক্ষেপ করা—তোমার কেন, কুমারগুপ্তের পক্ষেও সম্ভব নহে ।”