পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○>や করুণা পতি চক্রপালিত শ্মশানে আসিলেন ; তাহাদিগের পশ্চাতে যুবরাজ ভট্টারকপাদীয় মহামন্ত্রী দামোদরশষ্মণ, সুবরাজ ভট্টারকপাদীয় মহানায়ক জয়ধবলদেব ও সাম্রাজ্যের প্রধান মহানায়কগণ গঙ্গাতীরে উপস্থিত হইলেন । আর্দ্র সৈকতে চন্দন অগুরুর চিতাশয্যা সজ্জিত স্তষ্টল, তাহ কুসুমদামে ও চন্দন কুঙ্কুমে পরিপূর্ণ হইল, দেবধর ও অমিয়ার সদ্যঃস্নাত দেহ চিতার উপরে স্থাপিত হইল । সহসা সুবরাজ ভট্টারক এক লম্ফে চিতার উপরে উঠিয়া দেবধরের শব আলিঙ্গন করিয়া বলিয়া উঠিলেন, “দেবধর, এই কি শতদ্রু সদ্ধের পুরস্কার ? এই কি বক্ষতীরের স্মৃতিচিহ্ন ? এই কি গুপ্তকলের কতজ্ঞতা ?” কুমার হর্ষ গুপ্ত বালকের ন্যায় রোদন করিয়া উঠিলেন, বুদ্ধ দামোদরশৰ্ম্ম মুখ ফিরাইলেন, তখন সেই কাপালিক ধীরে ধীরে বন্ধুবৰ্ম্মার নিকটে আসিয়া কঠিল, “মহাশয়, বিলম্ব হইয়া যাইতেছে, মৃতদেহের সৎকার আরম্ভ হউক ৷” বন্ধুবৰ্ম্ম বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ভদ, আপনি কে ?” কাপালিক বিকটহাস্য করিয়া কহিল, “আমি ! আমাকে চিনিলে না মালবরাজ ? আমি যে মহাযজ্ঞের পুরোহিত ” বহুবৰ্ম্ম অধিকতর বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “মহাযজ্ঞ ?” “গুপ্তকুল-ধ্বংস যজ্ঞ, এতদিন কি ভাঙ্গ বুঝিতে পার নাই ?” “গুপ্তকুল ধবংস ? কে করিবে ?” “যাহার করিয়াচে,—ইন্দ্রলেখা, চন্দ্রসেন ও হরিবল ” “ভদ্র, আপনি কি বলিতেছেন, কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না ।” & এই সময় জয়ধবল যুবরাজের হস্ত ধারণ করিয়া তাহাকে চিতা হইতে নামাইয়া আনিলেন, শতদ্রুতীরের সহস্রবীর চিতা বেষ্টন করিয়া দাড়াইল এবং শেষবার ভূণবিজয়ী বীরকে অভিবাদন করিল। তখন দৃঢ় হস্তে স্কৃতের প্রদীপ ধারণ কয়িয়া বৃদ্ধ মহানায়ক জয়ধবল একমাত্র কন্যা ও একমাত্র জামাতার মুখে অগ্নি প্রদান করিলেন। স্বতনিক কারাশি জলিয়া উঠিল। লেলিহা অগ্নিশিখ জ্যোংলোম্বল