পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ ○ミン বসিয়া অলক্তকরঞ্জিত চরণ দু’খনি সরোবরের স্বচ্ছ জলে নিমগ্ন করিও ।” “সরোবরের—ঘটা—হংস—” “মনে আসিল না, মা ?:' “ন, বাবা ; এক একবার যেন ছায়ার মত মনে আসে, আবার তখনই কুয়াশার ঘন যবনিকায় ঢলিয়া যায়।” “মা, শেষবার বুলিয়া যাই শুন, কণ্ঠ শুকাইয়া আসিতেছে, আমার চোখের সম্মুখে কে যেন একটা ধুসরবরণ যবনিক ধীরে ধীরে টানিয়া দিতেছে । আমি চলিয়া গেলে তোকে এ সকল কথা বলিবার আর কেহ থাকিবে না । মা, তুই সসাগর ধরণীর একছত্রা অধীশ্বরী প্রথম কুমার গুপ্তের পালিত কন্যা, অগ্নিমিত্রের পুত্র গৌড়দেশের প্রধান সেনাপতি ভানুমিত্র তোর স্বামী ।” “তুমি যখন থাকিবে না তথন আমি কি করিব ?” “আমি বাঙ্গ বলি কণ্ঠস্থ করিয়া রাখ।” , “বল ।” “कुनःि।' কুমার গুপ্তের পালিত কন্যা, গৌড়ীয় মঙ্গবলাধিকৃত ভালুমিত্রের ধৰ্ম্মপত্নী ।” “আমি কুমারগুপ্তের পালিত কন্সা,গৌড়ীয় মঙ্গবলাপিকৃত ভালুমিত্রের ধৰ্ম্মপত্নী ।” “স্মরণ রাখি ও ” “তুমি যখন চলিয়া লাইবে, তখন আমি কাহার সহিত কথা কহিব ?” “কেন, গোপালের সহিত ?” “গোপাল কি ডাকিলেই আসিবে ?” “যেমন করিয়া ডাকিতে বলিয়াছি তেমন করিয়া ডাকিও, যখনই ডাকিবে তখনই আসিবে।” “কষ্ট এখন ত’ আসিতেছে না ?” “আমি যাই, তুমি চিন্তু স্থির কর, তাঙ্গর পর ডাকিও।” “তুমি কি আজই যাইবে ?” “অধিক বিলম্ব নাই । মা, অনেকদিন তোর সেবা করিলাম, বুড়ার একটা কথা রাখিবি ?” “কি বল ?” “আমি চলিয়া গেলে, আমার মাহ অবশিষ্ট, থাকিবে তাহ। গৌড়ে লইয়া যাইবি ?” “গৌড়ে কবে যাইব ?” “একদিন যাইতেষ্ট হইবে । যে দিন যাইবি সেদিন সঙ্গে করিয়া লইয়া যাইবি ?” “যাইব, কি করিব ?” "গৌড়নগরের কেশবের ঘাটের নীচে, প্রভাতে শত শত নরনারী স্নান করিতে আসে, তাহাদের পাদস্পর্শে কৃষ্ণ-ব্রহ্মশিলানিৰ্ম্মিত ঘট্টার সোপান ૨ સ