পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ඵථි8 করুণ কহিল, “মহারাজাধিরাজের জয় হউক । , আমি গোবিন, আমার সহিত যুবরাজভট্টারক , স্কন্দ গুপ্ত আসিয়াছে। মহারাজ, মহোদয় নগরে আজি কিসের মহোৎসব ? ভ্রাতা ও পুত্র হুণ-সৈন্যসমুদ্র মন্থন করিয়া আসিয়াছে ; আজি, মহোদ সুবাসা কি সেই আনন্দে আত্মবিহ্বল হইয়া মহোৎসবে উন্মত্ত হইয়াছে ?” বুদ্ধ সম্রাটের মস্তক অবনত হইল, সেই সময় অঙ্কুট চাংকার করিয়া পট্টমহাদেবী অনন্ত মুচ্ছিতা হইলেন, তখন গোবিন্দ গুপ্ত কহিলেন, “মঙ্গরাঞ্জ, অণ্ঠ আমার ও স্কন্দের নৃত্যসভায় উপস্থিতি কি আপনার বাঞ্ছনীয় নহে ?” বুদ্ধ কুমারগুপ্তের মস্তক অধিকতর অবনত হল, গোবিন্দ গুপ্ত পুনরায় কতিলেন, “মহারাজ, দাস বহুদিন শ্রীচরণ-দর্শন পায় নাই, শুনিয়াছি পাটলিপুত্রে চন্দ্রধরের পুত্র আত্মবলি দিয়াছে, সেই জন্ত মহারাজাধিরাজ সমুদ্র গুপ্ত রাজধানী পরিত্যাগ করিয়াছেন শুনিয়াছি- অভিজাত কুলজাত আর কেহ সভায় অথবা প্রাসাদে আসে না, শুনিয়াছি—শোণ্ডিক অক্ষয়নাগের পুত্র পাটলিপুত্রে ফিরিয়া গিয়াছে, সেই জন্ত বহুদিন পরে রাজ-দর্শনে আসিলাম ।” বুদ্ধ সম্রাট তখনও নিরুত্তর । এই সময়ে সঙ্ঘস্থবির হরিবল ধীরে ধীরে সম্রাটের নিকটে আসিয়া তাহার পদযুগল আলিঙ্গন করিল, তাহা দেখিয়া গোবিন্দ গুপ্ত ক্রুদ্ধ হইলেন, তিনি উচ্চৈঃস্বরে বলিয়া উঠিলেন, “শুন, মহারাজ, আজি সাম্রাজ্যের বিপদ উপস্থিত, নতুবা গোবিন্দ গুপ্ত সম্রাটুসকাশে উপস্থিত হইত না । বাহুলাক, কপিশা, গান্ধার শক্ৰহস্তগত ; নগরহার, পুরুষপুর ও তক্ষশিলা ভস্মীভূত, শতদ্রু পার হইয়া সহসা তুণসেন অন্তব্বেদীতে প্রবেশ কুরিয়াছে।. মথুরার অস্তিত্ব লোপ হইয়াছে। তাত, প্রবুদ্ধ হও, আর্যাবৰ্ত্তের সব্বনাশ উপস্থিত । উঠ, পিতৃদত্ত আসি গ্রহণ কর, আবার গোবিন্দগুপ্ত হুণসেনা বক্ষুর পরপারে রাখিয়া আসিবে ; সুন্দরী নৰ্ত্তকী, বৃহুমূল্য সুরা, নৃত্য গীত, মহোৎসব সমস্তই তোমার থাকিবে, একবার উঠ, জড়তা পরিত্যাগ কর, চাহিয়া, দেখ, ধরিত্রী ব