পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ VIII 象 “চাহিয়া দেখ, সম্মুখে অসংখ্য নরনারীর পরিত্রাতা, দেবতা ও ব্রাহ্মণ, রমণী ও শিশুর রক্ষাকৰ্ত্তা উপস্থিত । বিচলিত কুল-লক্ষ্মী স্তস্তনের জন্য কে ভূমিশয্যা গ্রহণ করিয়াছিল, শতদ্রুতারে কে দশসহস্র সৈন্য লইয়া কে শতসহস্ত্রের গতিরোধ করিয়াছিল ? সে কে ? আৰ্য্যাধক্তবাসী কৃতজ্ঞ হৃদয়ে চন্দ্র গুপ্তের পৌত্রকে অভিবাদন কর।” ” সঙ্গাত থামিল, সহস্র সঙ্গ, লক্ষলক্ষ, কণ্ঠোথিত জয়ধ্বনিতে প্রাচীন প্রতিষ্ঠামপুরের পাসাণময়ী ভিত্তি কম্পিত হইল । দশম পরিচ্ছেদ পাটলিপুত্রে e বিশাল পাটলিপুত্র নগরের বিস্তৃত রাজপথসমূহ জনসজেন পরিপূর্ণ, পরনেশ্বর পরমবৈষ্ণব পরমমাহেশ্বর মহারাজাধিরাজ স্কন গুপ্তদেব নগরে ফিরিয়া আসিয়াছেন, উল্লাসে পাটলিপুত্রের নাগরিক ও নাগরিক পথে পথে গীত গাইয়া বেড়াইতেছে । পট্টমহাদেবী অনন্ত ও মঙ্গরাজপুত্ৰ পুরগুপ্ত সামান্ত চেীরের স্তায় বন্দী, কপোতিক সঙ্ঘারামের সম্মুখে বিশাল জনতা ভেদ করিয়া একজন গৌরবর্ণ শ্বেত-বস্ত্রাবৃত পুরুষ বলিয়া বেড়াইতেছে, “মাগধ নরনারী উৎসব কর, আজি কেবল মহারাজাধিরাজের অভিষেক নহে; আজি স্কন্দগুপ্তের বিবাহ । বিবাহের উৎসব অধিক দিন চলিবে না, আবার বাহুলীকাতীরে ফিরিয়া বাইতে হইবে, আমি যে গৌড়ে ফিরিয়া যাইব, উপনগরের উষ্ঠানে পুষ্পবৃক্ষ শুকাইয়া গিয়াছে, বহুদিন অলক্তরাগরঞ্জিত চরণ কোমল আলিঙ্গনে সোপানের কঠোর মৰ্ম্মর স্পর্শ করে নাই।”