পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ পরিচ্ছেদ লগজুল হাঙ্কুের সন্ধ্যার প্রাক্কালে নগরঙ্গর নগরের তোরণে একদল অশ্বারোহী জনৈক মগধদেশীয় বন্দীকে লইয়া অপেক্ষা করিতেছিল ; তোরণ রুদ্ধ, প্রতীক্ষারগণ তাঙ্গ মুক্ত করিতে ভরসা করিতেছিল না । অশ্বারোহিদলের নায়ক কিয়ৎক্ষণ পরে অধীর হইয়া বলিয়া উঠিল, “বাপু, তুই দুয়ার খুলিয়া দিবি—ন!—দিবি না ?” তোরণের পাশ্ব হইতে প্রতীহার কহিল “কি করিব, মহানায়কের আদেশ, স্থৰ্য্যাস্তের পরে নগরতোরণ মুক্ত হইবে না ।” “মনে করিয়াছিলাম বলিব না, কিন্তু বলিতেই হইল । দেখ বাপু, যে মহানায়কের দেখা পাও, তাহাকেই বল যে, মুরারি গোপন সংবাদ লইয়া আসিয়াছে।” মাগধ বন্দী বক্তার মুখের দিকে চাহিল, বক্তা হাসিয়া ফেলিল এবং কহিল, “তবে চিনিয়াছ ? আমি মনে করিয়াছিলাম যে, পরিচয়ট বন্ধুবৰ্ম্ম অথবা চক্রপালিতের সম্মুখে গিয়া দিব।” বন্দী দন্তে দন্ত ঘর্ষণ করিয়া কহিল, “বিশ্বাসঘাতক, তোর জন্যই সদ্ধৰ্ম্মের আজি এই দশা ।” অশ্বারোহী উচ্চ হাস্ত করিল, সে পরক্ষণেই শান্ত হইয়া বলিয়া উঠিল, “রাহুলভদ্র, আর যাহা বলিতে চাহ রল, কিন্তু মুরারিকে বিশ্বাসঘাতক বলিও না । মুরারিকে যিনি পশু হইতে মানুষ করিয়াছিলেন, তিনি বৈকুণ্ঠে গিয়াছেন, তিনি জানিতেন মুরারি বিশ্বাসঘাতক কি না ? গোবিন্দগুপ্তের অন্নে এ দেহ পুষ্ট হইয়াছে, তোমরা কি মনে করিয়াছিলে, যে, মুরারি, মহাপ্রতীহারের ভয়ে দুইদিন তথাগতগুপ্ত সাজিয়াছিল বলিয়া, সে গুপ্তবংশের ঋণ