পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ールミ করুণা o সুস্থশরীরে পাটলিপুত্রনগরে উপস্থিত হইয়াছেন। হ্ণরাজ আর্য্যাবত্তে প্রবেশ করিলে কান্তকুজ পৰ্য্যন্ত ভূমি তাঙ্গকে প্রদত্ত হইবে।” “এখন কি করিতে চাহ ? “বলিয়াছি ওঁ, বিদায় প্রার্থনা করি, মুরারির অপর কোন প্রার্থনা নাই।” “এক যাইবে কেন ? আমরা অনেকেই যাইব, চল, একসঙ্গে যাই।” “অনেকেই যাইবে ? কেন মালবরাজ ?” “চল, দেখিবে গে কত সেনা আছে?” “পঞ্চসহস্ৰ ” “এই পঞ্চসংশ্রের একজন ও মগধে ফিরিবে না।” “কেন মহানায়ক ?” “মুরারি, তুমি বৈকুণ্ঠবাসী গোবিন্দ গুপ্তের পাশ্বচর হইয়া ও এই কথা জিজ্ঞাসা করিলে ? যাহার প্রাণের মমতা আছে, সে আমার সহিত যুদ্ধে আসে না, ধে দেশে ফিরিবার বাসন রাখে, সে স্কন্দগুপ্তের সেনাদলে যোগদান করে না ।" “মালবরাজ, আমি বৌদ্ধ, বৌদ্ধের পুত্র, জীবছিংসা দেখিলে সত্যহ মনে ব্যথা পাই । স্কন্দগুপ্ত নাই, আজি সাম্রাজ্য পুর গুপ্তের, কিসের জন্য এই পঞ্চসহস্র জীবন অনর্থক বলি দিবেন ?” “মুরারি, বলি আমি দিব না, বাহাদের জীবন, তাহারা সানন্দে উৎসর্গ করিবে। তুমি মগধবাসী, সেই জন্ত বুঝিতে পারিতেছ না, আমি মাগধ নহি, আমি দিব্যচক্ষে দেখিতে পাইতেছি, মগধের এই শেষ,মাগধ সাম্রাজ্যের এই শেষ, গুপ্তবংশের এই শেষ । মাগধসেনা আর কখনও উত্তরাপথের তোরণ রক্ষণ করিতে আসিবে না, উত্তরাপথে ও দক্ষিণাপথে অসহায় নরনারী আশ্রয়ের ভরসায় মগধের দিকে চাহিবে না । যে শক্তিবৰে মগধ এতদিন ভারতে প্রভূত্ব করিয়াছিল, সে শক্তি অগ্নিগুপ্ত, গোবিন্দ গুপ্ত ও স্কন্দগুপ্তের সহিত অন্তহিত হইয়াছে। মুরান্ত্রি, যাহারা আমার সহিত বক্ষুতীরে আসিয়াছিল, তাহারা সেই বলে বলীয়ান, তাহারা আর্য্যপট্টে অনন্তার পুত্রকে দর্শন করিতে ফিরিবে না।” “মালবরাজ, সত্য সভ্যই কি মগধের শেষ দশা ? আমি মাগধ, একথা শুনিয়া শমনের দুয়ারে দাড়াইয়াও আমার হৃদয় ব্যাকুল হইতেছে। মহানায়ক, কি অপরাধে, কাহাঁর জন্য মগধের অস্ত