পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ II বিশেষ কার্য্যে রাজধানীতে গিয়াছেন।" “যুবরাজ ?” “তিনিও পাটলিপুত্রে ।” “পাটলিপুত্র বহুদূর ” “তবে কি কুণজাতি মহানদী গার হইয়াছে ?” “তাতারা এখনও পার হয় নাই বটে তবে আগামী গ্রীষ্মে হইবে।” “আপনি আতার করুন, পরে অবশিষ্ট কথা বলিব ।” বিষ্ণুভদ্ৰ শয্য ত্যাগ করিয়া তাহারার্থ আসনে উপবেশন করিলেন । তাহার আঙ্গর শেষ হইলে সজঘস্থবির কহিলেন, “মহাশয়, আপনার কি রাজধানীতে কাহারও সঠিত পরিচয় বা বন্ধুত্ব আছে ?” “না।” “তবে কি উপায়ে সম্ৰাটসকাশে সংবাদ জানাইবেন ? “ভগবান ভরসা।” “চিন্তা নাই, আমি মহাশয়ের সহিত পাটলিপুত্রে যাইব ।” • ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ جی. অনামাজ্যের ক্লাল্ললক্ষী দিবসের প্রথম প্রহরে পুরুষপুর নগরে একটি বৃহৎ অট্টালিকার দ্বিতীয় তলে জনৈক সৈনিক একটি রুদ্ধদ্বার কক্ষের সম্মুখে দাড়াইয় একবার কপাটে মুহূ করাঘাত করিল। উত্তর না পাইয়া সৈনিক অৰ্দ্ধদও পরে দ্বিতীয়বার করাঘাত করিল। তুখন কক্ষাভ্যন্তর হইতে প্রশ্ন হইল, “কে ?” “আমি সিদ্ধবৃদ্ধি ” “কি চাও ?” “কণিষ্ক-বিহারের সঙ্ঘস্থবির সাক্ষাৎ প্রার্থনা করেন ।” “সন্ধ্যাকালে আসিতে বলি ৪ ’ “বলিয়াছিলাম।” “কি বলিলেন ?” “বলিলেন যে তিনি অদ্ভই জালন্ধর যাত্রা করিবেন।” “তবে কল্য আসেন নাই কেন ? “তাঙ্গ বলিয়াছি।” “কি বলিলেন ?”