পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○8 করুণা “কল্য সাক্ষাতের আবশ্বক হয় নাই।” “তবে এখন সাক্ষাতের কি আবশ্বক ?” “সঙ্ঘস্থবির বলিলেন বিশেষ আবশ্যক আছে।” “তবে বল যে বিষয়ুপতির শরীর অসুস্থ, এখন সাক্ষাৎ করা সম্ভবপর নহে ।” “তাহা ও বলিয়াছি।” “তবে কি করিতে চাহেন ?” “তিনি সাক্ষাৎ না করিয়া যাইবেন না।” “ভাল বিপদ, তাহাকে মন্ত্রগুহে লইয়া যাও, আমি আসিতেছি ।” সৈনিক চলিয়া গেল, কিয়ংক্ষণ পরে কক্ষের দ্বার মুক্ত হইলে জনৈক কৃশকায় ক্ষুদ্রাকার গৌরবর্ণ যুবক কক্ষ হইতে বহির্গত হইলেন। একজন দাস চন্দনকাষ্ঠের পাদুকা তাহার সম্মুখে রাখিল, আর একজন সুবাসিত জলপূর্ণ সুবর্ণ-ভৃঙ্গার লইয়া আসিল, তৃতীয়জন সুবর্ণপাত্রে জল ঢালিয়া যুবকের পদদ্বয় ধৌত করিল। প্রথম দাস প্রক্ষালিত পদদ্বয় সুগন্ধী-বস্ত্রে শুষ্ক করিয়া তাহাতে চন্দনকাষ্ঠের দ্বিরদরদখচিত পাদুক; সংলগ্ন করিল। যুবক গৃহের প্রথমতলে অবতরণ করিলেন। চারিজন বাহক গৃহদ্বারে একখানি সুবর্ণখচিত শিবিক লইয়া আসিল, যুবক তাহাতে আরোহণ করিলেন। একজন পরিচারক তাহার মস্তকের উপরে মণিমুক্তা-খচিত ছত্র ধারণ করিল, দ্বিতীয় বাজনী লইয়া বাজন করিতে লাগিল, তৃতীয় শিবিকার পথে গন্ধবারি নিক্ষেপ করিতে করিতে অগ্রসর হইল ; তাঙ্গর পশ্চাতে সুবর্ণ-দগু লইয়া চারিজন দণ্ডধর বহুমূল্য বেশে সজ্জিত হইয় চলিল। শিবিকার পশ্চাতে চারিজন পরিচারক তামূল, জলপূর্ণ ভৃঙ্গার, সুবৰ্ণপাত্র ও বস্ত্র লইয়া চলিল। বিদ্যুদ্বেগে দুর্গমধ্যে প্রচারিত হইল যে, বিষয়ুপতির নিদ্রাভঙ্গ হইয়াছে এবং তিনি আবাস হইতে মন্ত্রগুহে চলিয়াছেন। ংবাদ শুনিয়া দুর্গদ্বারে প্রতীহারগণ সজ্জিত হইয়া দাড়াইল, দণ্ডধরগণ শয্যা ত্যাগ করিয়া বেশ পরিধান করিল, পরিচারকগণ ব্যস্ত হইয়া মন্ত্ৰগৃহ পরিষ্কার করিল। নগরে কৰ্ম্মচারিগণ বিষয়পতির এইরূপ অশ্রুতপূৰ্ব্ব