পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8や করুণা ব্রাহ্মণের মুখ শুকাইয়া গিয়াছিল কিন্তু সে বৃদ্ধকর্তৃক আশ্বস্ত হইয়৷ তোরণের এক পাশ্বে উপবেশন করিল। বহুকাল পরে পাটলিপুত্রে আসিয়া ভগিনীর দর্শন পাইয়া, এবং মাতৃস্বরূপ। পট্টমঙ্গদেবীর বিষম বিপদের কথা শুনিয়া করুণদেবী ঋসভশৰ্ম্মার কথা বিস্তুত হইয়াছিলেন । সে যে প্রাসাদের তোরণে দাড়াইয়া আছে একথা তাহার স্মরণ ছিল না, সুতরাং রাজান্তঃপুররক্ষা অন্তঃপ্ৰতীহার অথবা মহাপ্রতাঙ্গর কৃষ্ণগুপ্ত ঋষভশয়া সম্বন্ধে কোন আদেশ পান নাই । বুদ্ধ মঙ্গপ্রতীহার কৃষ্ণগুপ্ত ও অন্তঃপ্ৰতীহারকে গৌড়ীয় মহাবলাপিকৃত ভালুমিত্রের বয়স্তের কথা জিজ্ঞাসা করিলে তাঙ্গর কতিলেন যে, অন্তঃপুর হইতে তাহার সম্বন্ধে কোন আদেশই আসে নাই। বৃদ্ধ প্ৰতীহার তোরণে ফিরিয়া আসিয়া ঋষভশন্মাকে কহিল, “ঠাকুর, আপনাকে চলিয়া বাইতে হইবে, কারণ আপনার সম্বন্ধে অন্তঃপুর হইতে কোন আদেশই আসে নাই।” ব্রাহ্মণ আকুল হইয়া কহিল, “বাবা, তোমরা যদি একটু দয়া না কর, তাহা হইলে, এ ব্রাহ্মণ মারা যায়। আমি বিদেশী লোক, রাজধানীর পথ-ঘাট একেবারেই চিনি না । বিলক্ষণ ক্ষুধার উদ্রেক হইয়াছে, রাজপ্রাসাদের ফলাঙ্গরের ভরসায় মধ্যাঙ্গে উদর পূরিয়া আহার করি নাই । এমন সময়ে যদি আমাকে তাড়াইয়া দাও, তাহা হইলে তোমাদিগের ব্রহ্মহত্যার পাপ হইবে।” বৃদ্ধ দেবারিক কহিল, “তা ঠাকুর, আমরা কি করিব ? মহাপ্ৰতীহারের আদেশ না পাইলে কোন অপরিচিত ব্যক্তি সূর্যাস্তের পরে প্রাসাদের সীমার মধ্যে থাকিতে পায় না।” এই বলিয়া প্রতীহার ব্রাহ্মণের হাত ধরিয়া তাহাকে পরিখার পারে রাখিয়া আসিয়া তোরণ রুদ্ধ করিল। o, ঋষভশৰ্ম্ম যে তোরণে অপেক্ষা করিতেছিলেন, তাহ পাটলিপুত্রের প্রাসাদের তৃতীয় তোরণ। এই তোরণ পার হইলে রাজান্তঃপুরে প্রবেশ করা যাইত। অন্তঃপুর হইতে নগরে গমন করিতে হইলে তিনটি স্বতন্ত্র