পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

でミ করুণা গৃহের চত্বর পরিত্যাগ করিল, তাহাদিগের পরিবর্তে সশস্ত্র মুক ও বধির পরিচারকগণ মন্ত্রগুঙ্গের চারিপাশ্ব বেষ্টন করিয়া দাড়াইল । ইহাই গুপ্তসাম্রাজ্যের প্রাচীন রীতি । t সেই রাত্রিতে যে মন্ত্রণ হইল, সেরূপ মন্ত্রণা মন্ত্রগুহের আচারে অভ্যস্ত এতিশক্তি ও বাকশক্তিচীন পরিচারকবর্গ কখনও দেখে নাই। উল্কাধারী ও প্রতীহারগণ দূরে অপসরণ করিলে প্রৌঢ় সম্রাটু সহসা বৃদ্ধের পাদমূলে পতিত হইলেন, এবং অশ্ৰুরুদ্ধকণ্ঠে কহিলেন, “তাত, আমার অপরাধ মার্জন করুন দ” দামোদর শম্ম কুমারগুপ্তকে আলিঙ্গনপাশে আবদ্ধ করিয়া কহিলেন, “কুমার, তুমি আমার পুত্ৰতুলা, আমি কি কখনও তোমার অপরাধ গ্রহণ কহিতে পারি? আমি চন্দ্রগুপ্তের বালাসখা, সমুদ্রগুপ্তের সচিবের পুত্র, পাছে নৰ্ত্তকী ইন্দ্ৰলেখার কন্যার সম্মুখে নতশির হইতে হয়, সেই ভয়ে উন্মত্ত হইয়াছিলাম !” এই সময়ে গোবিন্দ গুপ্ত কহিলেন, “পিতৃব্য, গতানুশোচনায় ফল নাই, আমি অদ্য রাজধানীতে আসিয়াছি, কলাই প্রত্যাবৰ্ত্তন করিব । সীমান্তে প্রবল ঝড়ের লক্ষণ দেখিয়া আসিয়াছি, অধিক দিন অনুপস্থিত থাকিতে ভরসা হয় না ” দামোদর। গোবিন্দ, তুমি যৌবনসীমা অতিক্রম করিয়াছ বটে, কিন্তু বালসুলভ-চপলত এখনও তোমাকে পরিত্যাগ করে নাই। ছয় মাসের পথ এক মাসে অতিক্রম করিয়া প্রহরদ্বয় পূৰ্ব্বে গৃহে ফিরিয়াছ, কিছু দিন বিশ্রাম কর । সীমান্তের বিপদ ত নিত্যই আছে, শকরাজগণ এখনও আর্য্য-রাজনীতি হৃদয়ঙ্গম করিতে পারে নাই। এক মাস বিশ্রাম কর, পরে জালন্ধরে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিও । গোবিন্দ। পিতব্য, নূতন বিপদ শকরাজগণের আত্মবিদ্রোহজাত নহে। কুরুবর্ষে নূতন শকজাতি আসিয়াছে, বক্ষুতীর এখন তাঙ্গাদিগের অধিকারগত। হূণজাতির নাম স্মরণ আছে কি ? ॐ