পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ ( মঙ্গরাজপুত্র গোবিন্দগুপ্ত অঙ্গুরীয়ক দেখিয়া শিহরিয়া উঠিলেন। প্রতীহার ভয়ে দুইপদ পিছু হটল। কিয়ৎক্ষণ পরে আত্মসংবরণ করিয়া গোবিন্দগুপ্ত কহিলেন, “উত্তম, তুমি রমণীকে মন্ত্ৰগৃহে লইয়া আইস ” প্রতীহার এক অব গুণ্ঠনাকৃত নবযুবতীকে লইয়া ফিরিয়া আসিল এবং তৎক্ষণাৎ দূরে সরিয়া গেল। গোবিন্দগুপ্ত জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কে ?” উত্তর না দিয়া রমণী অবগুণ্ঠন মোচন করিল। গোবিন্দ গুপ্ত দেখিলেন বর্তী রূপসী । তিনি ঈষৎ হান্ত করিয়া বললেন, "চিনিলাম না, আমার রূপ চিনিবার বয়স অতীত হইয়াছে।” রমণী কহিল, “আমি মন্দমলক্সানিলের দেশ হইতে আসিয়াছি।” উত্তর হইল, “সে দেশ আমার পরিচিত বটে, কি জন্ত আসিয়াছ?” “পত্র দিতে।" "কাগর পত্ৰ ?” “ঠাকুরাণীর ” “কে ঠাকুরাণী ?” “শুনিয়াছিলাম মঙ্গরাজপুত্র সুরসিক ?” “ভদ্রে, রসবোধের বয়স অতীত হইয়াছে।” “কিন্তু এমন করিয়াই ੇ ভূলিতে হয় ?” “ভুলি নাই, কখনও পারিব কিনা সন্দেহ ।” ”সকল পুরুষেই এই কথা বলিয়া থাকে।” সহসা গোবিন্দ গুপ্তের নয়নদ্বয় উজ্জল হইয়া উঠিল, তিনি তীব্রম্বরে কহিলেন, “রমণী, শেষ স্মৃতি তপ্ত লৌহকীলক দ্বারা আমার হৃদয়ে অঙ্কিত হইয়াছিল । তুমি মন্দমলয়ানিলকে দেখিয়াছ ?” “এইমাত্র দেখিলাম।” "এখনও দেখ নাই, এই দেখ।" | মহারাজপুত্র কোযবদ্ধ সুদীর্ঘ অসি নির্গত করিয়া যুবতীর সম্মুপে ধারণ করিলেন। রমণী দুই পদ পিছু ছটিয়া কহিল, “প্রভু, আমি শুনিয়াছিলাম নন্দমলয়ানিল মানুষ !” “ফিরিয়া গিয়া বলিও মানুষ বিংশতিবর্য যাবৎ এই আকার ধারণ করিয়াছে।” 朝 রমণী তখন বস্ত্রাঞ্চল হইতে পত্র লইয়া গোবিন্দগুপ্তের হস্তে প্রদান করিল। দীপালোকে তাহা পাঠ করিয়া তিনি কহিলেন, “তুমি চলিয়া যাও, উত্তর নাই।” রমণী অভিবাদন করিয়া প্রস্থান করিল, পরক্ষণেই