পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ ○ ふ করির ?” আগন্তুক কহিল, “বাতায়ন-পথে ” “সঙ্গে কে?" “আর একজন বন্দী ” “তোমার পরিচিত ?” “না, চিন্তা নাই ইনি গৌড়ীয় ব্রাহ্মণ, রাজধানীতে ফলাঙ্গর করিতে আসিয়াছিলেন।" প্রশ্নকৰ্ত্ত হাসিয়া উঠিল এবং জিজ্ঞাসা করিল, “ঠাকুর, রাজধানীর ফলাহার লাগিল কেমন ?” ক্ষুধাৰ্ত্ত শ্ৰান্ত ব্রাহ্মণ কহিল, "বিষম,—প্রাণ স্নায় যায় হইয়াছে। তোমার গৃহে খাদ্য আছে ?” গৃহস্বামী কহিল, "আছে ।” সে কক্ষের দ্বার মুক্ত করিল, শব্বনাগ ও ঋষভদেব প্রবেশ করিলেন । ব্রাহ্মণ অত্যন্ত কাতর হইয় গৃহস্বামীকে কহিল, “অগ্ৰে খাদ্য আন।” সে কছিল, “প্রথমে দলপতির নিকট চল ।” তিনজনে পাশ্বের কক্ষে প্রবেশ করিল। কক্ষটি বৃহদায়তন, একপাশ্বে একটি ক্ষুদ্র প্রদীপ-তাইতে অন্ধকার নিবারিত হইতে ছিল না । গৃহতলে কয়েকজন পুরুষ মৃৎপাত্রে মদ্যপান করিতেছিল। তাঙ্গদিগের মধ্যে একজন জিজ্ঞাসা করিল, “কে ?” গৃহস্বামী কহিল, “গৰ্ব্বনাগ পলাইয়া আসিয়াছে।” “উত্তম কথা, সঙ্গে কে ?” “আর একজন বন্দী, গোঁড় হইতে রাজধানীতে ফলাঙ্গর করিতে আসিয়াছিল, সেই জন্ত বন্দী হইয়াছিল । ঠাকুর বড়ই ক্ষুধাৰ্ত্ত ।” তখন সেই ব্যক্তি ঋষভদেবকে জিজ্ঞাসা করিল, “কি ঠাকুর কি খাইবে ?” ব্রাহ্মণ কহিল, “যাহা পাইব—যাহা আছে এইখানেই লইয়া আইস ” এই বলিয়া সে গৃহতলে উপবেশন করিল । দলপতি জিজ্ঞাসা করিল, “গৌড়দেশে ব্রাহ্মণে শূকরমাংস খাইয় থাকে, দগ্ধ শূকরমাস আছে, খাইবে ?” ব্রাহ্মণ ঘৃণায় মুখ ফিরাইয়া কছিল, “গোবিন্দ, গোবিন্দ ” “তবে তোমার ক্ষুধার উদ্রেক হয় নাই।” “বাপু, রহস্তের সময় অনেক আছে। ব্রাহ্মণে কখনও শূকরমাংস ভোজন করিয়া থাকে ? গোবিন্দ তোমার মঙ্গল করিবেন, গৃহে যে আহাৰ্য্য আছে লইয়। আইস ” “ঠাকুর, তুমি মিথা কথা বলিতেছ। ব্রাহ্মণে শূকরমাংস খায় না, দেখিবে ? বিশ্বেশ্বর, তুমি কি জাতি ?” দলস্থ দ্বিতীয় ব্যক্তি কহিল, "ব্রাহ্মণ ” “তুমি’ শূকরমাংস