পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ やや A একটা’খ্যাতি আছে, ঋষভ পাত্রের অন্ন শেষ না করিয়া আচমন করেন না, পকন্তু প্রাসাদে যেরূপ ফলাহারের আয়োজন তাহাতে ত ঋষভের অখ্যাতিই হইবে । তাহার উপর গুরুদেব-লব্ধ অল্প ত্যাগ করিয়া ভোজন-ব্যাপার শেষ করিতে নিষেধ করিয়াছেন । যে আহায্য সজ্জিত আছে, তাহা শেষ করিতে অন্ততঃ দশ দিন লাগিবে ।’ রাহ্মণের কথা শুনিয়া সকলেই উচ্চ হ্রাস্ত করিয়া উঠিলেন । তখন গোবিন্দ গুপ্ত কছিলেন, “ঠাকুর, উপস্থিত অন্ন পরিত্যাগ করিতে নাই, প্রতিজ্ঞাভঙ্গ করিয়া ও কাজ নাই, আপনি এক এক পাত্রের অন্ন এক এক দিনে গ্রহণ করুন " ব্রাহ্মণ দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া কহিল, “দশ দিনে অন্ন নষ্ট হইয়া যাইবে যে ?” “সে চিন্তা করিবেন না, মহাদেবী এবং করুণা ও অরুণা রন্ধন-বিদ্যায় দ্রৌপদী।” মহাশয়, অতি বিচক্ষণ ব্যক্তি, আশাব্বাদ করি, আপনার অপি জয়যুক্ত ভউক, ইহাই সৰ্ব্বোত্তম পরামর্শ । ঠাকুরাণি, আজি তবে অন্নই ভক্ষণ করিব, ব্যঞ্জনগুলা প্রভাতের জন্য রাখিয়া দাও।” ব্রাহ্মণের উক্তি শুনিয়া পুনরায় সকলে হাসিয়া উঠিলেন । গোবিন্দ গুপ্ত কহিলেন, “মহাশয়, ব্যঞ্জন প্রভাতের জন্য রাখিয়া দিতে হইবে না, কল্য নুতন ব্যঞ্জন পাক হইবে, আপনি ভোজন করুন।” ঋষভদেব তখন বিষম বিপদে পড়িলেন। তাহার জন্ত যে আহার্য্যসম্ভার সজ্জিত ছিল, তাহার মধ্যে দশ প্রকারের পলান্নই ছিল । তিনি কোন পাত্র গ্রহণ করিবেন অদ্ধদণ্ডের মধ্যে তাহ স্থির করিয়া উঠিতে পারিলেন না। রাত্রি শেষ হইয়া যায় দেখিয়া ব্রাহ্মণ অবশেষে সম্মুখের একপাত্র অন্ন টানিয়া লইয়া ভোজন আরম্ভ করিলেন, একদণ্ডের মধ্যে সেই স্ববৃহৎ রজতাধারে স্ত পীঙ্কত অন্নরাশি নিঃশেষিত হইল। কক্ষস্থিত সকলে বিস্ময়-বিস্ফারিত-নেত্রে এই অদ্ভুত ভোজনব্যাপার দর্শন করিতেছিলেন। ভোজন শেষ হইলে সম্রাটু করতালিধ্বনি করিলেন, একজন দণ্ডধর আসিল । সম্রাট তাহাকে মহাপ্রতীহারকে আহবান করিবার জন্য