একাদশ পরিচ্ছেদ や2(? দহখানি কিঞ্চিৎ কোমল, তাহাতে বোধ হয় সহ্য হইবেন । আবার কি বিনা অপরাধে কারাগারে যাইব ?” “মহাশয় আপনি ব্রাহ্মণ, আমি আপনার সমক্ষে প্রতিজ্ঞা করিতেছি যে, আমি জীবিত থাকিতে কেহই আপনার অঙ্গে হস্তার্পণ করিতে পরিবে না।” “তবে চলুন।” “আপনি মধ্যাহ্ন-ভোজন সমাধা করিয়া আমার আবাসে আসিবেন ।” “তথাস্তু ” দিবসের দ্বিতীয় প্রস্তরের শেষদণ্ডে ঋষভদেব শৰ্ম্ম বিগতরাত্রিতে-লব্ধ বহুমূল্য ক্ষৌমবস্ত্র পরিধান করিয়া গোবিন্দগুপ্তের আবাসে আসিলেন। মঙ্গরাজপুত্র তখন সজ্জিত হইয় তাহার জন্য অধুেক্ষণ করিতেছিলেন। তাহার বেশ দেখিয়া ব্রাহ্মণ চমকিত হইলেন। গোবিন্দগুপ্তের সর্বাঙ্গ রজতশুভ্র উজ্জল লৌহবৰ্ম্মে আবৃত, তাঙ্গর কটিদেশে অসি ও কৃপাণ, হস্তে শূল ও পৃষ্ঠে সুদীর্ঘ পরশু। ব্রাহ্মণ সভয়ে জিজ্ঞাসা করিলেন, “মহারাজপুত্র কি যুদ্ধ করিতে নগরে যাইবেন ?” গোবিন্দ গুপ্ত ঈষৎ হাসিয়া কহিলেন, “কেন, ভয় হইতেছে?” “না, ভয় নহে–তুবে যুদ্ধকালে ব্রাহ্মণ শুভযাত্রা নহে । আমি কি মহাদেবীর আবাসে ফিরিয়া যাইব ?” “ঠাকুর ভয় নাই, আমি যুদ্ধ করিতে যাইতেছি না, রঙ্গাভিনয় করিতে যাইতেছি।” গুরুভার শিরস্ত্রাণ হস্তে গ্রহণ করিয়া গোবিন্দগুপ্ত কক্ষ হইতে নিস্ক্রান্ত হইলেন। তাহার আবাসের সম্মুখে একখানি রথ অপেক্ষা করিতেছিল, তিনি ঋষভদেবকে লইয়া তাহাতে আরোহণ করিলেন । রথ প্রাসাদের তৃতীয় তোরণের বাহিরে আদিলে সারণী জিজ্ঞাসা করিল,-“প্ৰভু কোথায় যাইব ?” গোবিন্দগুপ্ত কছিলেন, “কপোতিক সজঘারামের উত্তর তোরণে যাও।” রথ সশব্দে নগরের পাষাণাচ্ছাদিত পথ অতিক্রম করিতে লাগিল। কিয়ৎক্ষণ পরে ঋষভদেব জিজ্ঞাসা করিলেন, “মহারাজ, সঙ্ঘারাম ত বৌদ্ধমঠ, সে স্থানে যাইবার জন্ত বৰ্ম্ম পরিবার কি আবগুক ছিল ?” উত্তর হইল, “ব্রাহ্মণ, পাটলিপুত্র নগরে হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন কোন মঠই নিৰ্বাপদ স্থান নহে!” “মহারাজ বলিলেন, মঠ g