পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wりや করুণা মাত্রেই ঈশ্বরের আরাধনার স্থান। এইরূপ পবিত্র স্থানে কি কখনও পাপ প্রবেশ করিতে পারে?” “ঠাকুর তর্কে প্রয়োজন কি ? অবিলম্বে হিন্দু ও বৌদ্ধ এই দুই সম্প্রদায়ের মঠের অভ্যস্তর দেখিতে পাইবেন।”: ' এই সময়ে রথ পাটলিপুত্রের জনাকীর্ণ রাজপথ অতিক্রম করিয়া পাষাণপ্রাচীর বেষ্টিত কপোতিক সঙ্ঘারামের বৃহৎ তোরণের সম্মুখে আসিয়৷ দাড়াইল, গোবিন্দগুপ্ত ও ঋষভদেব রথ হইতে অবতরণ করিলেন । গোবিন্দগুপ্ত সারথীকে কহিলেন, “এখানে রথ লইয়া অপেক্ষা করিবার প্রয়োজন নাই তুমি শোণ্ডিকবীথির শেষে যে কুপ আছে তাহার পাশ্বে অপেক্ষা করিবে । দ্বিতীয় প্রহর রজনীতে যদি ফিরিয়া না আসি, তাহ। হইলে কৃষ্ণগুপ্তকে জানাইবে যে আমার কোন বিপদ হইয়াছে।” গোবিন্দগুপ্ত ও ঋষভদেব প্রাসাদে প্রবেশ করিলেন। সারণী রথ লইয়া প্রস্থানের ' উপক্রম করিতেছে, এই সময়ে সঙ্ঘারাম হইতে নির্গত হইয়া এক ব্যক্তি তাহাকে সহসা জিজ্ঞাসা করিল, “প্রাসাদের রথ দেখিতেছি, প্রাসাদ হইতে রথে চড়িয়া কপোতিক সঙ্ঘারামে কে আসিল ভাই ?” সারথী তাহাকে গোবিন্দগুপ্তের প্রকৃত পরিচয় দিতে যাইতেছিল কিন্তু কি ভাবিয়া কহিল, “কোনও উচ্চপদস্থ রাজপুরুষ হইবেন, আমি ঠিক পরিচয় জানি না ।” গোবিন্দ গুপ্ত ও ঋষভদেব সজঘারামে প্রবেশ করিয়া দেখিলেন যে, প্রাঙ্গণ উপাসক ও উপাসিকগণে পরিপূর্ণ। প্রাঙ্গণের মধ্যস্থলে একটি বৃহৎ মন্দির, তাহাতে শঙ্কু ও ঘণ্টানাদ হইতেছে। গোবিন্দগুপ্ত জনতা পরিত্যাগ করিয়া প্রাঙ্গণের এক পাশ্বের একটি সঙ্কীর্ণ পথ অবলম্বন করিলেন, সেই পথের উভয় পাশ্বে অনেকগুলি চৈত্য ও মন্দির ছিল । যে স্থানে পথ শেষ হইয়াছে, সেই স্থানে একটি ক্ষুদ্র তোরণের অর্গলবদ্ধ দ্বারের পাশে জনৈক ভিক্ষু নিদ্রিত ছিল। গোবিন্দগুপ্ত তাহাকে স্পর্শ করিলেন, সে তৎক্ষণাৎ উঠিয়া দাড়াইল এবং জিজ্ঞাসা করিল, “কে তুমি, কি চাও?” গোবিন্দ