পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- দ্বাদশ পরিচ্ছেদ - লেন; কিন্তু স্কন্দগুপ্ত দাড়াইয়া রহিলেন । গোবিন্দগুপ্ত কহিলেন, “পিতৃব্য, ইন্দ্রলেখা বিংশতি বর্ষ পরে সহসা আমাকে দেখিবার জন্ত লালায়িত হইয়া উঠিয়াছে।” “ইন্দ্রলেখা ?” “হা, তাহার দূত আসিয়া প্রাসাদে আমাকে নিমন্ত্ৰণ করিয়া গিয়াছে।” “প্রাসাদে ? তাহার দূত কি প্রকারে প্রাসাদে প্রবেশলাভ করিল ?” “আমার অঙ্গুরীয়ক দেখাইয়৷ ” “তোমার অঙ্গুরীয়ক ? গোবিন্দ, বারবনিতা ইন্দ্ৰলেখা তোমার অঙ্গুরীয়ক কি প্রকারে হস্তগত করিল ?” “পিতৃব্য, আমার উচ্ছৃঙ্খল যৌবমে একদিন ইন্দ্ৰলেখার জন্য সৰ্ব্বস্ব ত্যাগ করিতে উষ্ঠত হইয়াছিলাম। সেই সময়ে স্মারক-চিহ্নস্বরূপ পিতার নামাঙ্কিত অঙ্গুরীয়ক তাহাকে প্রদান করিয়াছিলাম সে তাহ ফিরাইয়া দেয় নাই ।” o সংবাদ শুনিয়া বৃদ্ধ মহামাত্য স্তব্ধ হইয়া বসিয়া রছিলেন। অদ্ধদণ্ড পরে গোবিন্দগুপ্ত জিজ্ঞাসা করিলেন, “পিতৃব্য, কি চিন্তা করিতেছেন ?” “গোবিন্দ, যে প্রকারে হউক অদ্যই সেই অঙ্গুরীয়ক ফিরাইয়া আনিতে হইবে।” “কেন ?” “সেই অঙ্গুরীয়ক-বলে অনন্তা ও ইন্দ্ৰলেখা তুমি আসিবার পূৰ্ব্বে প্রাসাদে প্রবেশলাভ করিয়াছিল। স্কন্দ, কৃষ্ণগুপ্তকে আদেশ কর, বলপূৰ্ব্বক স্বৰ্গীয় মহারাজের নামাঙ্কিত অঙ্গুরীয়ক ইন্দ্রলেখার নিকট হইতে লইয়া আসে !” স্কন্দ । আর্য্য, বল প্রয়োগ করিলে মহারাজ-পুত্রের অপঘশ হইবে। পাটলিপুত্রের দুষ্ট নাগরিকগণ পিতৃব্যের নামে সঙ্গীত রচনা করিয়া নগরের পথে পথে গাহিয়া বেড়াইবে । * 4. গোবিন্দ। পিতৃব্য, বলপ্রয়োগে প্রয়োজন নাই। কৌশলে অভীষ্ট সিদ্ধ করিয়া আসিব । so দামো । চেষ্টা করিয়া দেখ, অদ্য কৃতকাৰ্য্য না হইলে কল্য বলপ্রয়োগ করিতেই হইবে । আত্মরক্ষার ব্যবস্থা করিয়াছ ? গোবিন্দ । নাগরিকগণ এখনও আমাকে বিস্তৃত হয় নাই ।