পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bペ করুণা মহাদেবী । তাহা হইলে আপনার অন্তঃপুর হইতে নির্গত হইবার প্রয়োজন নাই। আপনি কোথায় যাইতে চাহেন ? -- ঋষভ । আমি যাইতে চাহি নাই ঠাকুরাণী, আমাকে ভানুমিত্রের সন্ধানে —ব্রাহ্মণ এই পর্য্যন্ত বলিয়া চরি অঙ্গুলী পরিমিত জিহবা বাহির করিয়া দংশন করিলেন । মহাদেবী। কি হইল ? ঋষভ । ঠাকুরাণী যে কথাটি বলিতে বারণ করিয়া দিয়াছিল ঠিক সেই কথাটি বাহির হইয়া গেল । . অরুণা। ঠাকুর, দিদি বুঝি আপনাকে ভগিনীপতির সন্ধানে পাঠাইয়াছিল ? ঋষভদেব কি উত্তর দিবেন তাহ ঠিক করিতে না পারিয়া মস্তক কও ন করিতে আরম্ভ করিলেন। কনিষ্ঠ ভগিনী অবসর পাইয় জ্যেষ্ঠাকে উৎপীড়ন করিতে আরম্ভ করিল। সে জিজ্ঞাসা করিল, “দিদি, তোমার বুঝি ভগিনীপতিকে প্রয়োজন আছে, আমি ভানুমিত্রকে ডাকিয়া পাঠাইতেছি ।” ダ করুণ । তোর যেমন কথা অরুণা, আমি কেন তাহাকে ডাকিতে যাইব ? ঠাকুর কি বলিতে কি ব’লে তাহার ঠিক থাকে না । অরুণা। ঠাকুর, তুমি কাহাকে ডাকিতে যাইতেছিলে ? ঋষভদেব নিরুত্তর। অরুণা ৷ দেথ ঠাকুর, গোবিন্দের মন্দিরে দাড়াইয়া যদি মিথ্যাকথা বল, তাহা হইলে তোমার মহাপাতক হইবে ; আর দেখিতেছ, সম্মুখে পট্টমহাদেবী দাড়াইয়া আছেন । " ঋষভদেব দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া কহিলেন, “গণক সত্য কহিয়াছিল, আমার অদৃষ্টে বিধাতা দেশে প্রত্যাবর্তন লিখেন নাই। দেবি, আমি পাটলিপুত্রেই থাকিব।”