পাতা:কর্ণানন্দ.djvu/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१३ কর্ণানন্দ । ভাবে প্রভু পড়িয়া আছিল । তাহতেই যেই ভাব তাস্বাদন কৈল ॥ স্বরূপগোসাঞি আসি করাইলী চেতন । স্বরূপেরে কহে তবে মনের বেদন ॥ চেতন হইতে হস্তপদ সব বাহির হৈল । পূৰ্ব্ববদ্যথা যোগ্য শরীর হইল ॥ উঠিয়া বসিলা প্ৰভু চাহে ইতি উতি। স্বরূপেরে পুছে প্রভু আমি ত্যানিলে কতি ॥ বেণুনাদ শুনি আমি গেলাম বৃন্দাবন। দেখি গেষ্ঠে বেণু বাজায় ব্রজেন্দ্রনন্দন ॥ সঙ্কেত বেণুনাদে রাধা তাণি কুঞ্জঘরে । কুঞ্জেরে চলিলা কৃষ্ণক্রীড়া করিবারে ॥ তার পাছে পাছে আমি করিনু গমন। তার ভূষণ ধ্বনিতে মোর হরিল শ্রবণ ॥ গোপীগণ সঙ্গে করি হাস পরিহাস । কণ্ঠধ্বনি উক্তি শুনি সোর কর্ণেল্লাস ॥ কেন বা আনিলে মোরে বৃথা দুঃখ দিতে । পাইয়া কৃষ্ণের লীল। ন পাইনু দেখিতে ॥ অষ্টাদশ পরিচ্ছেদে জলকেলি লীলা । তাহীতেই যেই ভাব প্রকাশ করিলা ॥ জলকেলি লীলা এই করি দরশন। নানান কৌতুক দেখে প্রবেশিয়া মন ॥ কালিন্দী দেখিয়া আমি গেলাম বৃন্দাবন । দেখি জলক্রীড়া করে ব্রজেন্দ্রনন্দন ॥ রাধিকাদি গোপীগণ সঙ্গে এক মেলি । যমুনাতে মহা রঙ্গে করে জলকেলি ॥ তীরে রহি দেখি আমি সখীগণ সঙ্গে ৷ এক সখী দেখায় মোর জলকেলি রঙ্গে স্বরূপেরে কহে প্রভু আবেশ হইয়া । আপন মনের কথা প্রকাশ করিয়া ॥ শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য যাহা কৈল আস্বাদনে। সবে এক বেদ্য তাহ স্বরূপাদিগণুে ॥ স্বরূপাদি বিনা তাহ অন্য বেদ্য নয়। নিশ্চয় করিয়া ইহা গ্রন্থকার কয় । আর এক কথ। তাছ মন দিয়া শুন । মাৎসৰ্য্য ছাড়িয়। রাজ করহ শ্ৰবণ ॥ শ্রীরূপমঞ্জরী যবে ঐরা