জন্যই যখন তখন ছেলেটাকে ফিরিঙ্গি সাজিয়ে এক গা গন্ধ মাখিয়ে তার মেসোর আদর কাড়বার জন্য পাঠিয়ে দাও! আমি দারিদ্র্যের লজ্জা অনায়াসেই সহ্য করতে পারি কিন্তু ধনী কুটুম্বের সোহাগযাচনার লজ্জা আমার সহ্য হয় না।
এ কথা মন্মথর মনে অনেকদিন উদয় হইয়াছে —কিন্তু কথাটা কঠোর হইবে বলিয়া এ পর্য্যন্ত কখনো বলেন নাই। বিধু মনে করিতেন স্বামী তাঁহার গূঢ় অভিপ্রায় ঠিক বুঝিতে পারেন নাই, কারণ, স্বামী সম্প্রদায় স্ত্রীর মনস্তত্ত্ব সম্বন্ধে অপরিসীম মুর্খ। কিন্তু মন্মথ যে বসিয়া বসিয়া তাঁহার চাল ধরিতে পারিয়াছেন হঠাৎ জানিতে পারিয়া বিধুর পক্ষে মর্ম্মান্তিক হইয়া উঠিল।
মুখ লাল করিয়া বিধু কহিলেন—ছেলেকে মাসীর কাছে পাঠালেও গায়ে সহে না এত বড়। মানীলোকের ঘরে আছি সে ত পূর্ব্বে বুঝতে পারিনি।
এমন সময় বিধবা জা ঘরে প্রবেশ করিয়া কহিলেন—মেজ বৌ তোদের ধন্য। আজ সতেরো বৎসর হয়ে গেল তবু তোদের কথা ফুরাল না!