পঞ্চম পরিচ্ছেদ।
১৯
বিধু। বল কি সতীশ! এ ত তিনশো টাকার ধাক্কা। এত টাকা—
সতীশ। মা, ঐ তোমাদের দোষ। এক ফকিরি করতে চাও সে ভাল, আর যদি ভদ্রসমাজে মিশ্তে হয় তবে অমন টানাটানি করে চলে না। ভদ্রতা রাখতে গেলে ত খরচ করতে হবে, তার ত কোন উপায় নেই। সুন্দর বনে পাঠিয়ে দাও না কেন সেখানে ড্রেস কোটের দরকার হবে না।
বিধু। তা ত জানি, কিন্তু—আচ্ছা তোমার মেসো ত তোমাকে জন্মদিনের উপহার দিয়ে থাকেন এবারকার জন্য একটা নিমন্ত্রণের পোশাক তাঁর কাছ হতে জোগাড় করে নাওনা। কথায় কথায় তোমার মাসীর কাছে একটু আভাস দিলেই হয়।
সতীশ। সে ত অনায়াসেই পারি কিন্তু বাবা যদি টের পান আমি মেসোর কাছ হতে কাপড় আদায় করেছি তা হলে রক্ষা থাকবে না।
বিধু। আচ্ছা সে আমি সামলাতে পারব। (সতীশের প্রস্থান) ভাদুড়ি সাহেবের মেয়ের সঙ্গে যদি সতীশের কোন মতে বিবাহের যোগাড় হয় তাহলেও আমি সতীশের জন্য অনেকটা নিশ্চিন্ত