ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ।
২৩
নন্দী। আমি বাঙালীদের সঙ্গে সেখানে মিশিনি।
নলিনী। শুনচ সতীশ! রীতিমত সভ্য হতে গেলে কত সাবধানে থাকতে হয়! তুমি বোধ হয় চেষ্টা করলে পারবে। টেনিস্সুট সম্বন্ধে তোমার যে রকম সুক্ষ্ণ ধর্ম্মজ্ঞান তাতে আশা হয়। (অন্যত্র গমন)
সতীশ। (দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া) নেলিকে আজ পর্য্যন্ত বুঝতেই পারলেম না। আমাকে দেখে ও বোধ হয় মনে মনে হাসে। আমার ও মুস্কিল হয়েছে আমি কিছুতে এখানে এসে সুস্থ মনে থাকতে পারি নে—কেবলি মনে হয় আমার টাইটা বুঝি কলারের উপরে উঠে গেছে, আমার ট্রাউজারে হাঁটুর কাছটায় হয় ত কুঁচ্কে আছে। নন্দীর মত কবে আমিও বেশ ঐ রকম অনায়াসে ফুর্ত্তির সঙ্গে—
নলিনী। (পুনরায় আসিয়া) কি সতীশ এখনও যে তোমার মনের খেদ মিট্ল না! টেনিস্ কোর্ত্তার শোকে তোমার হৃদয়টা যে বিদীর্ণ হয়ে গেল! হায়, কোর্ত্তাহারা হৃদয়ের সান্ত্বনা জগতে কোথায় আছে—দর্জ্জির বাড়ী ছাড়া!