পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষষ্ঠ অধ্যায়।

ধর্ম্ম, বদান্যতা ও বিদ্যাশিক্ষা।

 সেকালে কলিকাতাবাসীদিগের স্বভাবচরিত্র যেরূপ ছিল, তৎসম্বন্ধে জনৈক উদারহৃদয় লেখক এইরূপ সাক্ষ্য দিয়াছেন—“কলিকাতার অধিবাসীরা বদান্যতার জন্য প্রসিদ্ধ; জগতের কোনও জাতি এ বিষয়ে ইহাদের সমকক্ষ নহে, একথা নিঃসন্দেহে বলা যাইতে পারে; ইহাদিগকে সমষ্টিভাবে ধরিয়া ধীরভাবে বিচার করিলে এই অবিচলিত সত্য স্পষ্ট প্রতিপন্ন হইবে। আমি যে কেবল অধ্যয়ন ও দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ হইতে একথা বলিতেছি তাহা নহে, প্রত্যুত আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হইতে বলিতেছি। স্বভাবতঃ এইরূপ বদান্যতার প্রবৃত্তিসম্পন্ন জাতি যে পরোপকারপরায়ণ মহাপ্রাণ ইংরাজগণকর্তৃক পরিচালিত হইতে পারছিল, ইহা তাহাদের সৌভাগ্যের বিষয় বলিতে হইবে। সে সময়ে পরোপকারপরায়ণ সদাশয় ইংরেজের সংখ্যাও যথেষ্ট ছিল। বহু সদগুণকর্তৃক প্রণোদিত হইয়া ইংরেজগণ যে বিবিধ লোকহিতকর কার্য্যে যোগদান করিয়া জনসাধারণের সুখস্বচ্ছতার বৃদ্ধি ও তাহাদের নৈতিক চরিত্রের উৎকর্ষবিধান করিয়াছেন, ইতিহাসে এ তাহার বহু জাজ্বল্যমান প্রমাণ বিদ্যমান। প্রোক্ত লেখক চার্লস ওয়েষ্টন নামক একজন সাহেবের মহাপ্রাণতার যে বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়াছেন, আমরা এস্থলে তাহা অতি সঙ্ক্ষেপে উল্লেখ করিব। চার্লস ১৭৩১ সালে কলিকাতা নগরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁহার পিতা মেয়র্স কোর্টের