পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ অধ্যায় ।
১০৭

ম্মদকে তাঁহার পূর্ব প্রাপ্য সমস্ত বৃত্তির টাকা প্রদানের আদেশ করায় ভগবানের অপার করুণার নিমিত্ত তাঁহার প্রতি কৃতজ্ঞতাসূচক এই মসজিদ ১৮৪২ সালে নির্মাণ করিয়া ইহার ব্যয়নির্বাহের সুন্দর ব্যবস্থা করিয়া দেন।

 ৪। মেচোবাজারের মসজিদ মেচোবাজার বটে অবস্থিত। কটকবাসী ফতু কাঞ্জরিয়া কর্তৃক স্থাপিত; ইহার বর্ত্তমান অধিকারীর নাম মহম্মদ গিয়াসুদ্দিন। এখানেও কয়েকজন ছাত্র বিনাব্যয়ে আহার্য্য ও বাসস্থান পাইয়া থাকে।

 ৫। হারিসন রোডের পার্শ্বস্থ মসজিদ, দীন চামড়াওয়ালা নামক একজন সামান্য জুতাব্যবসায়ী কর্তৃক নির্মিত। এখানেও বিনাব্যয়ে আহার্য্যাদি পাবার ব্যবস্থা আছে।

 মুসলমানেরা এই সমস্ত এবং অন্যান্য মসজিদে নমাজ পড়িয়া থাকেন; নমাজ পড়িবার জন্য প্রত্যেক মসজিদে এক একজন ইমাম অর্থাৎ পুরোহিত আছেন। সকল মসজিদেরই জমি নিঙ্কর জমি এবং সর্ব্বপ্রকার মিউনিসিপাল কর প্রদানের দায় হইতে মুক্ত।

 ব্রাহ্মদিগের তিনটী প্রকাশ্য ভজনালয় আছে একটি পরলোকগত কেশবচন্দ্র সেনের যত্নে নির্ম্মিত, উহা মেচোবাজার ষ্ট্রীটে অবস্থিত এবং নববিধান মন্দির নামে পরিচিত; দ্বিতীয়টা কর্ণওয়ালিস স্ট্রীটে অবস্থিত এবং সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ নামে সুপরিচিত। এবং তৃতীয়টি আদি ব্রাহ্মসমাজ নামে খ্যাত; উহা একমাত্র স্বর্গীয় দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পত্তি, কিন্তু ইচ্ছা করিলে সকলেই তথায় যাইয়া উপাসনাদি করিতে পারেন। সুপ্রসিদ্ধ রাজা রামমোহন রায়ই প্রথম ব্রহ্মসমাজ স্থাপন করেন।

 হিন্দুদের মতে কালীঘাট বা কালীক্ষেত্র ভারতবর্ষের মধ্যে