পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ অধ্যায়।
১১৩

নির্মাণ করাইয়া বিগ্রহের সেবার জন্য যথোচিত সম্পত্তি দান করেন। ঐ মন্দিরটী মদনমোহনের বাড়ী নামে পরিচিত। এইরূপ একটা কিংবদন্তী আজো আছে যে, এই বিগ্রহটি প্রথমে বাঁকুড়া জেলার অন্তর্গত বিষ্ণুপুরের বাজার ছিল; তিনি বিস্তর টাকা লইয়া ধর্মপ্রাণ গোকুল বাবুর নিকট উহা বন্ধক রাখেন। পরে রাজা টাকা দিয়া বিগ্রহ ফিরাইয়া চাহিলে গোকুল বাবু অত্যন্ত দুঃখিত হন এবং তাহা প্রত্য- র্পণ করিতে অনিচ্ছাপ্রকাশ করেন। ইতোমধ্যে রাজার প্রতি স্বপ্নদেশ হইল যে, তিনি যেন উহার জন্য গোকুলের উপর পীড়া- পীড়ি না করেন; সুতরাং রাজা ঐ বিষয়ে ক্ষান্ত হইলেন; মূর্তি গোকুল বাবুরই হইল।

 মহারাজ নবকৃষ্ণ বাহাদুর স্বীয় ভবনে মহাপ্রভু শ্রীশ্রীগোপীনাথ জীর যে প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন, তৎসম্বন্ধে ওয়ার্ড সাহেব এইরূপ লিখিয়াছেন:—

 দুইজন সন্ন্যাসী (যাহারা উত্তরকালে শ্রীকৃষ্ণের ভক্তগণের মধ্যে সবিশেষ প্রসিদ্ধলাভ করেন,—চৈতন্য ও নিত্যানন্দ তাঁহা- দের শিষ্য ঘোষ ঠাকুরকে এই বলিয়া অগ্রদ্বীপ পাঠাইয়া ছিলেন যে, তুমি এই পাথরটা লইয়া যাইয়া গোপীনাথ জীর বিগ্রহরূপে প্রতিষ্ঠা করিয়া পুজা করিতে থাক। ঘোষঠাকুর গুরুর আদেশানুসারে পাথর- খানা মাথায় করিয়অগ্রদ্বীপে উপস্থিত হইলেন এবং দেববিগ্রহ রূপে প্রতিষ্ঠিত করিয়া প্রতিদিন প্রকাশ্য পূজা করিতে লাগিলেন।”

 এই দেবমূর্ত্তি কিরূপে ধর্ম্মপ্রাণ মহারাজের হস্তগত হল, তৎ- সম্বন্ধে ওয়ার্ড সাহেব লিখিয়াছেন:—

 “এই বিগ্রহের (গ্রদ্বীপের গোপীনাথের) অধিকারী কৃষ্ণনগ- রের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের নিকট কলিকাতার রাজা নবকৃষ্ণ তিন