পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ অধ্যায়।
১৪৭

শ্রেণীতেও পড়িতে পাইত। পাইবার ব্যবস্থা এইরূপ হইয়াছি সূর্যোদয় হইতে পূৰ্বাহ ১টা পর্যন্ত বাঙ্গালা; পূর্ব্বাহ্ন ১০॥০টা হইতে ১২॥০টা পর্যন্ত ইংরেজী; আর অপরাহ্ন ৩॥০টা হইতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পুনর্বার বাঙ্গালা।

 ১৮৩৮ অব্দে আডাম সাহেব গবর্ণমেণ্ট-প্রদত্ত তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে বঙ্গ ও বিহারের দেশীয় ভাষায় শিক্ষার ব্যবস্থা সম্বন্ধে তাঁহার লিখিত রিপোর্ট মুদ্রিত করেন। এই রিপোর্ট আলোচনা করিলে শিক্ষাবিষয়ে মিশনরি সম্প্রদায় ও বেসরকারি ব্যক্তিবর্গ কিরূপ যত্ন চেষ্টা করিয়াছেন এবং গবর্ণমেণ্টই বা স্বীয় কর্তব্য কিরূপ পালন করিয়াছেন, তাহা সুস্পষ্ট বুঝিতে পারা যায়। লর্ড ডালহাউসি এবং হ্যালিডে সাহেব দেশীয় ভাষার শিক্ষার বিস্তারকল্পে এত চেষ্টা করিয়াছিলেন। পরন্তু লর্ড উইলিয়াম বেণ্টিঙ্কের শাসনকাল বিদ্যালয়ে ইংরেজী শিক্ষা বিষয়ে উৎসাহ দান ও তাহার প্রসারের নিমিত্ত প্রসিদ্ধ হইয়া রহিয়াছে। তাহার শাসনকালে ১৮৩৩ অব্দে ইষ্টইণ্ডিয়া কোম্পানি যে নুতন সনদ প্রাপ্ত হন, তাহাতে গভর্ণর জেনারেলের কাউন্সিলে একজন ল-মেম্বার (ব্যবস্থা-সভ্য) নিয়োগের নিয়ম হয়, এবং ব্যবস্থা হয় যে, কোম্পানির কর্মচারী না হইলেও যে কোনও ব্যক্তি ঐ পদ পাইতে পারিবেন। তদনুসারে টমাস ব্যাবিং উন মেকলে (পরে লর্ড মেকলে) প্রথম ল-মেম্বার নিযুক্ত হন। সেই সময়ে, এতদ্দেশে ইংরেজী শিক্ষায় বা দেশীয় শিক্ষায় গবর্ণমেণ্ট সাহায্য ও উৎসাহ দান করিবেন এই বিষয়ে মতভেদ উপস্থিত হইয়া তুমুল আন্দোলন চলিতেছিল। মেকলের আগমনে ইংরেজী শিক্ষাবর্তনের পক্ষপাতীরা একজন অমুল্য সহায় পাই- লেন। তাঁহার ১৮৩৫ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি তারিখের 'মিনিট'