পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ অধ্যায়।
১৪৯

লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকরণে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় একটি পরীক্ষক সমাজ ব্যতীত আর কিছুই নহে; তবে সাধারণ সাহিত্য, আইন, চিকিৎসা, ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে উপাধি-প্রদানের অধিকার ইহার আছে। একজন চ্যান- সেলর (সভাপতি), একজন ভাইস-চ্যানসেলর (সহ-সভাপতি) ও একটি সেনেট (সদস্য-সমাজ) লইয়া ইহা গঠিত। ইহার কর্ম্ম- পরিচালনার ভার সিণ্ডিকেট নামক সভার উপর অর্পিত; তাহাতে ভাইস চ্যান্সেলর ও বিভিন্ন ফ্যাকালটি কর্তৃক নির্বাচিত কয়েকজন সেনে্টের সভ্য আছেন। ১৮৫৪ অব্দের প্রবর্তিত প্রণালীর পূর্ণতা সাধনের উপায়নিৰ্দ্ধারণার্থ লর্ড রিপণ ১৮৮২-৮৩ অব্দে একটি শিক্ষা কমিশন’ নিযুক্ত করেন। উক্ত কমিশনের সভাপতি স্বনামখ্যাত সার উইলিয়ম হণ্টার আপনার রিপোর্টের একস্থলে এইরূপ মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছেনঃ—

 “শ্রী-শিক্ষা এবং সমাজের মুসলমান প্রভৃতি কতিপয় অনুন্নত শ্রেণীর বিদ্যাশিক্ষায় বিশিষ্টরূপ মনোযোগ দেওয়া হইয়াছে। কমি- শনের অনুরোধসমূহের স্কুল কথা এই যে, গবর্ণমেণ্টের সাধারণ শিক্ষাবিভাগটিকে উন্নত করিয়া ভারতের প্রকৃত জাতীয় শিক্ষা এরূপ প্রণালীতে পরিণত করা আবশ্যক, যেন প্রজারা নিজেই অধিকতর পরিমাণে তাহার পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করিতে পারে।”

 ভূতপুর্ব রাজপ্রতিনিধি লর্ড কর্জ্জনের শাসনকালে অপেক্ষকৃত বিস্তৃতভাবে একটি 'শিক্ষা কমিশন' নিযুক্ত হইয়াছিল। কমিশন- রে্রা বিভিন্ন প্রদেশে ঘুরিয়া বেড়াইয়া অভিজ্ঞ শিক্ষাব্যবসায়ী ও অন্যান্য প্রধান ব্যক্তিদিগের সাক্ষ্য গ্রহণ করিয়াছিলেন। প্রচলিত শিক্ষাপ্রণালী সূক্ষানুসূক্ষ্ণরূপে পরীক্ষা করিয়া তাহার ত্রুটি ও