পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ অধ্যায়।
১৫১

৫০ টাকা হইতে আরম্ভ করিয়া, মাসিক ৫০০ টাকা পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন বেতনে ভিন্ন ভিন্ন পদে,—যথা ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের হেড, পণ্ডিত ও হেড, রাইটার রূপে, সংস্কৃত কলেজের প্রথম অধ্যাপক ও পরে অধ্যক্ষরূপে, এবং অবশেষে বর্ধমান, নদীয়া, হুগলি ও মেদিনীপুর জেলার বিদ্যালয়সমূহের ইনস্পেক্টররূপে-গবর্ণমেণ্টের চাকুরিতে নিযুক্ত ছিলেন। ১৮৯১ সালের জুলাই মাসে তিনি ইহলোেক পরিত্যাগ করেন। তাহার সম্বন্ধে জনৈক লেখক যথার্থই লিখিয়াছেন—“সংস্কৃত কলেজের বর্তমান সুযোগ্য অধ্যক্ষ বেকন ও বপের ভাবে অনুপ্রাণিত ঈশ্বরচন্দ্রের যত্বে ইহা আর কেবল সংস্কৃত ভাষায় মানসিক শিক্ষার স্থান নহে, অধিকন্তু ভাষাবিজ্ঞান অনুশীলনের প্রধান স্থান, ভাঙ্গালা ভাষার রাজ- বিদ্যালয়, বিশুদ্ধ ভাষার উৎপত্তিস্থল, এবং সুক্ষ ভাষাতত্ত্ব- শিক্ষকের শিক্ষার বিদ্যালয়রূপে পরিণত হইয়াছে। তাঁহার যত্নে সংস্কৃত আর পুর্বের ন্যায় কেবল ব্রাহ্মণগণের কুসংস্কারের অস্ত্রস্বরূপ নাই, জনসাধারণের ভাষা সুমার্জিত হইয়া উন্নত হইয়া উঠিয়াছে। তর্ক-শাস্ত্রকে জনপ্রিয় করিবার নিমিত্ত হোয়েটলি যাহা করিয়াছেন, দর্শনশাস্ত্রকে জনপ্রিয় করিবার নিমিত্ত সক্রেটিস যাহা করিয়াছেন, সংস্কৃত ব্যাকরণের অধ্যয়নকে সহজসাধ্য করিবার নিমিত্ত ঈশ্বরচন্দ্র তাহাই করিয়াছেন; যে শাস্ত্রের অধ্যয়ন এতকাল নিতান্ত কঠিন ও নীরস ছিল, তাহাকে তিনি গ্রীকের স্যায় সহজ করিয়াছেন। তাঁহার কৃত ব্যাকরণ ও সরল সংস্কৃত গ্রন্থ বহু ইংরেজী বিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তকরূপে নির্ধারিত হইয়াছে; ঐ সকল স্কুল ছাত্রেরা তাঁহার উদ্ভাবিত প্রবালীতে বাঙ্গালা সাধুভাষা শিক্ষা করে; এতদ্বারা অধ্যাপক উইলসনের সেই উক্তি সত্য বলিয়া