পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫৬
কলিকাতার ইতিহাস।

বঙ্গ-বিদ্যালয় স্থাপন করিবার, এবং মেধাবী ছাত্রগণকে শিক্ষক ও অনুযাজক হইবার উপযুক্ত করিয়া প্রস্তুত করিবার উদ্দেশ্যেই উহার প্রতিষ্ঠা। ১৮২১ সালে ইহার তত্ত্বাবধানাধীনে ১১৫টা বঙ্গ-বিদ্যালয় এবং ৩,৮২৮ জন ছাত্র ছিল। ১৮২৩ সালে ইহা গবর্নমেণ্ট হইতে মাসিক ৫০০ টাকা সাহায্য পাইত। ডেভিড হেয়ার ইহার ইউরোপীয় সম্পাদক এবং রাজা সার রাধাকান্ত দেব বাহাদুর ইহার দেশীয় সম্পাদক ছিলেন। সার আণ্টনি ব্টলার, জে, ব্যারিংটন প্রভৃতি মহাপুরুষেরা ইহার প্রতি বিলক্ষণ সহানুভূতি ও যন্ত্র প্রকাশ করতেন।

 বিদ্যালয় ও শিক্ষাসমাজ সম্বন্ধীয় এই প্রসঙ্গে স্ত্রী-শিক্ষাবিষয়ে যে সকল মহাত্মা আয়াস স্বীকার করিয়া গিয়াছেন, তাহাদের সম্বন্ধেও কিঞ্চিৎ বলা আবশ্যক; নচেৎ এই সংক্ষিপ্ত ও অসম্পূর্ণ বিবরণ আরও অসম্পূর্ণ রহিয়া যাইবে। কথিত আছে যে, মিসেস (বিবি) পিট নামী একা ইউরোপীয় মহিলাই এই কার্যে সর্ব্ব- প্রথম অগ্রসর হন।[১] মিসিস্ ডুয়েলের বালিকাবিদ্যালয় সে সময়ে প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিল। পাদরী লসন সাহেবের স্ত্রী-

  1. রেইলি সাহেব কিন্ত বলেন:—
     ১৭৬০ অব্দের সময়কালে মিসিস হেজেস একটা বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। সম্ভবতঃ উহাই কলিকাতার প্রথম বালিকাবিদ্যালয়। ঐ বিদ্যালয়ে মৃত্য ও ফরাসী ভাষা শিখান এই বলিয়া প্রকাশ •••••••তৎকালে খিদিরপুর স্কুলের অস্তিত্ব ছিল না; সুতরাং মিসিল হজে ১৭৮০ সালে বেশ সঙ্গতি করিয়া লইয়া অবসর গ্রহণ করিতে সমর্থ হন। কথিত আর যে, হেজেস বিবির বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা শিষ্টবৎ, গর্ব্বিতা।,ধূর্তা, নীচস্বভাবা ও স্বেচ্ছাচারিণী ছিল।