পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তম অধ্যায়।
১৯১

ইউরোপীয়দিগের কুঠির সর্ব্বপ্রকার দ্রব্যের বিক্রয়ের উপর নগর শুল্কস্বরূপ শতকরা ৫্ টাকা কমিশন আদায় করিবার চেষ্টা করা হইয়াছিল। কিন্তু ইউরোপীয় অধিবাসীরা এই প্রস্তাবের এরূপ তীব্র প্রতিবাদ করেন যে, ডিরেক্টর সভা ১৭৫৭ সালে এই সঙ্কল্প পরিহার করিবার আদেশ প্রদান করিতে ব্যধ্য হন। তথাপি কিন্তু দেশীয়দিগের এবং জার্ম্মাণী ও পর্ত্তুগীজদিগের নিকট হইতে এই কর আদায় করা হইত।’’

 বোল্টস্ সাহেব বলেন;—“বিবাহ করিবার লাইসেন্স (অর্থাৎ অনুমতিপত্র) লইবার নিমিত্ত প্রত্যেক পক্ষের নিকট হইতে ৩ সিক্কা টাকার হিসাবে যে কর গ্রহণ করা হইত, তাহাও নগরশুল্কের মধ্যে পরিগণিত ছিল।” পরন্তু এরূপ লাইসেন্স যে কখনও কাহাকেও দেওয়া হইয়াছিল, তাহার নিদর্শন অফিসের দলিলপত্রে পাওয়া যায় না। তদ্ভিন্ন ক্রীতদাস (গোলাম) ও নৌকাবিক্রয়ের উপরও শতকরা হিসাবে কর গ্রহণ করা হইত।” বোল্টস্ সাহেব আরও বলেন,—“গঞ্জসমূহে যে সমস্ত শস্য এবং কলিকাতার বাজারসমূহে যে সকল নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু ও অন্যান্য দ্রব্য আনীত হইত, তৎসমস্তের নিমিত্ত একটা আমদানি শুল্ক, দিতে হয়, এবং কলেক্টর সেই শুল্কসংগ্রহের তত্ত্বাবধান করিতে থাকেন। কলেক্টর ঠিকাদারদিগকে বহুবিধ হস্তশিল্পের ব্যবসা পরিচালনের অধিকার ঠিকা দিয়া থাকেন; ঐ সকল ঠিকাদার সংস্থা আবার প্রকৃত ব্যবসায়চালকদিগের নিকট হইতে তাহাদের ব্যবসায়পরিচালনের লাইসেন্সের ফি বাবদ অর্থ সংগ্রহ করে, এবং অপরাপর খাতে খরচ নির্বাহের জন্য মজুরির অংশ গ্রহণ করে।