পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯২
কলিকাতার ইতিহাস।

 ঐ সময়ে কিরূপ ভাবের শুল্ক বা কর আদায় করা হইত, নিম্নে তাহার কয়েকটি দৃষ্টান্ত দেওয়া যাইতেছে;

 “রামেশ্বর সমরুত গোপের প্রতি। যে বা যাহারা শ্রাদ্ধের সময় ষাঁড় দাগিতে ইচ্ছা করিবে, তুমি তাহাদের নিকট প্রচলিত ‘ফি’ (কর) লইবে; কিন্তু তাহা যেন বলপূর্বক লওয়া না হয়, আর কোনরূপ অনুচিত বা অতিরিক্ত ফি আদায় করিলে দণ্ড গ্রহণ করিতে হইবে এবং এই কার্য্য হইতে তৎক্ষণাৎ বরতরফ হইবে। ১লা এপ্রেল, ১৭৬৫।”

 “নিমাইচরণ দাস ব্রজবাসী ফকিরের প্রতি। কলিকাতা সহ ও ডিহিসমূহের সীমার মধ্যস্থ প্রত্যেক দোকান হইতে ভিক্ষুক-গণের পোষণার্থ দানস্বরূপ তুমি প্রতিদিন এক কড়া হিসাবে আদায় করিবে। কলিকাতা ৩১শে জুলাই, ১৭৬৫।”

 “এতদ্বারা কলিকাতা সহরবাসী সেক ননকুকে পাট্টা প্রদান করিয়া এইরূপ একচেটিয়া অধিকার দেওয়া হইতেছে যে, কলিকাতা সহরের ও ১৫ ডিহির অধিবাসী ভদ্রলোক ও অপরাপর লোকের মদ্যাদি শীতল করিবার নিমিত্ত যে শোরার জল ব্যবহৃত হইয়া থাকে, সে সমস্তই উক্ত ব্যক্তি ক্রয় করিতে ও তাহা ফুটাইয়া তাহর শোরা প্রস্তুত করিতে পারিবে। এই অধিকারলাভের জন্য তাহাকে কোম্পানি বাহাদুরের সরকারে বার্ষিক ১০১ টাকা করিয়া দিতে হইবে। এই পাট্টার মেয়াদ ৩ বৎসর; ঐ ৩ বৎসর তাহার অধিকার থাকিবে। ...