পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৮
কলিকাতার ইতিহাস।

কর্মচারিগণের পরাজয়ে উৎসাহহীনতার অভাব। তৃতীয়তঃ বিপদের সময় কোম্পানীর কর্ম্মচারীগণের পরস্পরের প্রতি ঐকান্তিক ও অদম্য বিশ্বাস ও নির্ভর। চতুর্থতঃ ও প্রধানতঃ ইংলণ্ডস্থ ইংরেজজাতির সম্পূর্ণ সহায়তা ও পৃষ্ঠপোষকতা। তাঁহারা নিশ্চিত জানিতেন যে, ভারতীয় ইংরেজদিগের উপর যে কোনরূপ আপদ বিপদ আপতিত হউক না কেন, ইংল্যাণ্ডকে তাহার উদ্ধার সাধন করিতেই হইবে। আর ইংল্যাণ্ড ইউরোপের কুটরাজনীতির কথায় পড়িয়া কখনই আপনার ভারতীয় কর্মচারীগণকে বিসর্জ্জন দেন নাই। ইউরোপীয় শক্তিপুঞ্জের মধ্যে একমাত্র ইংল্যাণ্ডই ধর্ম্মজ্ঞানের সহিত এই দুইটি নীতির অনুসরণে কার্য্য করিয়া আসিতেছেন; এবং সার্দ্ধ দ্বিশত বৎসর কাল এই নীতি অনুসারে কার্য্য করিবার ফল বর্তমান ইংরেজাধিকৃত ভারত।

 কিঞ্চিদধিক ২৫০ বৎসর হইল, কলিকাতায় ইংরেজদিগের বাণিজ্যের সূত্রপাত হইয়াছে। এই কাল মধ্যে ইহা যেরূপ প্রসার লাভ করিয়াছে, তাহাতে উহার বর্তমান পরিমাণ সঠিকরূপে নির্ণয় করা একপ্রকার অসাধ্য বলিলেই হয়। একমাত্র বাণিজ্যই যে কলিকাতাকে বহুবিধ কার্য্যের কেন্দ্রস্থল করিয়া তুলিয়াছে, তাহাতে সন্দেহ নাই। সভ্য জগতের সকল জাতিই ইহার বিষয় ব্যাপারে স্বার্থ সংস্রব-বিশিষ্ট। চীনদেশ ও পেরু এতদুভয়ের মধ্যবর্ত্তী ভূভাগে যে বিভিন্ন জাতির বাস, তত্তাবৎ জাতিকেই এখানে সতেজ বাণিজ্য ব্যবসায় করিতে দেখা যায়, এবং তদ্বারা তাহারা এত ধন উপার্জন করে যে, তাহা দেখিয়া ঐশ্বর্য্যশালী রাজগণের হৃদয়েও ঈর্ষানল উদ্রেক হইতে পারে। ভূমণ্ডলের প্রায় সকল অংশ হইতেই দূতগণ স্ব স্ব জাতির স্বার্থ সংরক্ষণ নিমিত্ত এখানে প্রেরিত