পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২১৪
কলিকাতার ইতিহাস।

 কলিকাতা কাউন্সিলের জনৈক ইউরোপীয় সদস্য (যিনি তৎকালে “জমিদার”ও ছিলেন উইলিয়াম উইলসন্ নামক জনৈক পাইল প্রস্তুতকারকের নিকট কিঞ্চিৎ অর্থ (মোট ৭৫॥৴৭ পাই) ঋণী ছিলেন, এই শেষোক্ত ব্যক্তি প্রথমোক্ত ব্যক্তির নিমিত্ত সামান্য কোন কার্য্য সম্পন্ন করিয়াছিলেন। পাইল প্রস্তুতকারক উক্ত ভদ্রলোকের নিকট আপনার প্রাপ্য টাকার বিল ও তৎসহ তাহার রসিদ প্রেরণ করিলেন, কিন্তু ভদ্রলোকটি তাহা অতিরিক্ত জ্ঞান করিয়া টাকা দিলেন না, অধিকন্তু সেই বিল ও রসিদ নিজে রাখিয়া দিলেন। পাইল প্রস্তুতকারক এই ব্যাপার মেয়র্স কোর্টের গোচর করিলেন। তখন সেই ভদ্রলোক সাধারণের নিকট অপদস্থ হইবার ভয়ে বিলের সমস্ত টাকা মায় মোকদ্দমার খরচা প্রদান করিয়া মোকদ্দমা আপোষে মিটাইয়া ফেলিতে সম্মত হইলেন। বাদীর এটর্নির একজন হিন্দু “কলিকাতার কৃষ্ণকায় বণিক্” বেনিয়ান (মুছুদ্দী) ছিল। এই ব্যক্তি সমাজে সাতিশয় মান্যগণ্য ছিলেন। বাদীর এটর্ণি আপনার এই বেনিয়াটিকে উক্ত ভদ্রলোকের নিকট উক্ত টাকার তাগাদায় পুনঃ পুনঃ প্রেরণ করিতে বাধ্য হন। কিন্তু কোন বারেই কিছুমাত্র টাকা না পাইয়া শেষবারে অত্যন্ত রাগিয়া উঠিলেন এবং উক্ত ভদ্রলোককে বলিলেন যে, যদি এই টাকা দেওয়া না হয়, তাহা হইলে কোন রূপ অশুভফল উৎপন্ন হইতে পারে। এই কথা বলায় সেই “জমিদার” সাহেব ক্রোধে ক্ষিপ্তপ্রায় হইয়া উঠিলেন এবং কৃষ্ণকায় বণিক্‌কে ধরিয়া কাছারীতে লইয়া যাইবার আদেশ প্রদান করিলেন। তথায় নীত হইলে, বিনা বিচারে তাঁহার হাত পা বাঁধা হইল ও তাঁহাকে কশাঘাত করা হইল এবং