পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২১৮
কলিকাতার ইতিহাস।

দ্দেশে ভূম্যধিকার লাভ করিলেন বটে, কিন্তু তাঁহারা শীঘ্রই দেখিলেন যে তাঁহারা মহা সঙ্কটে পতিত হইয়াছেন। পার্লামেণ্ট তাঁহাদের কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিতে লাগিলেন, এবং তাঁহাদিগকে কি পরিমাণ ক্ষমতা ও দায়িত্ব বিধিসঙ্গতরূপে প্রদান করা যাইতে পারে, তৎসম্বন্ধে সদস্যের পর সদস্য বাদানুবাদ করিতে লাগিলেন। ভারতবর্ষের সুশাসনের নিমিত্ত সময়ে সময়ে এক একটা আইন বিধিবদ্ধ হইতে লাগিল এবং তদ্বারা কোম্পানির উপর রাজার ক্ষমতাপরিচালনের ও শাসনের সীমা নির্দ্দিষ্ট হইতে লাগিল। এদিকে ভারতবর্ষে দ্বিবিধ শাসনপ্রণালীর (অর্থাৎ ইংরেজী নীতি রীতিতে পরিচালিত এক প্রণালীর এবং প্রচলিত মুসলমান রীতি অনুসারে পরিচালিত অপর প্রণালীর) ফল অতি সত্বর প্রকাশ পাইতে লাগিল।

 বাণিজ্য দ্বারা যে কোন প্রকারে অধিক লাভ করাই কোম্পানি মুখ উদ্দেশ্য ছিল; আবার সুবাদারের অত্যাচার উৎপীড়নে ও শোণিত শোষণে জনসাধারণ একরূপ ক্ষিপ্তপ্রায় হইয়া উঠিয়াছিল। এতৎ সম্বন্ধে জেনারেল বর্জায়ন্ সাহেবের উক্তির উল্লেখ করিলেই এস্থলে যথেষ্ট হইবে। পার্লামেণ্টের কমন্স সভা ১৭৭২ অব্দে ভারতের অবস্থা বিষয়ে অনুসন্ধান করিবার নিমিত্ত যে কমিটি নিযুক্ত করেন, এই মহাত্মা তাহার চেয়ারম্যান্ অর্থাৎ সভাপতি বা অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি বলিয়াছেন, পাপাচার, অর্থশোষণ ও অবিচারের এরূপ দৃশ্য, এরূপ অশ্রুতপূর্ব্ব নিষ্ঠুরাচরণ, এবং নৈতিক সাধুতার প্রত্যেক নিয়মের, প্রত্যেক ধর্ম্মবন্ধনের ও শাসন-প্রণালীর প্রত্যেক নীতির এরূপ প্রকাশ্য উল্লঙ্ঘন পুর্ব্বে আর কখনও দৃষ্ট হয় নাই * * * এরূপ বহু অপরাধ সর্ব্বদা ঘটিত, যাহা মানবপ্রকৃতির