পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবম অধ্যায়।
২৫৫

মর্ম্মভেদী প্রবন্ধ একটা বিশেষ নিয়ম লঙ্ঘন করিতেহে বলিয়া কাউন্সিলে আবেদন করিতে বাধ্য হন, কারণ উক্ত নিয়মানুসারে ঐ সময়ে, যেরূপ আলোচনায় দেশীয়দিগের মনে তাহাদের ধর্মবিশ্বাসে বা ধর্ম্মকর্ম্মে হস্তক্ষেপ হইবে বলিয়া আশঙ্কা জম্মিতে পারে, এরূপ আলোচনা করা নিষিদ্ধ ছিল। আডাম সাহেব ঐ আবেদন করিয়া প্রার্থনা করেন যে, সংবাদপত্র সম্পাদক কে যেন ভবিষ্যতে ঐরূপ আলোচনা হইতে বিরত থাকিতে আদেশ করা হয়। কিন্তু লর্ড হেষ্টিংস ঐ সমস্ত প্রবন্ধ বিশেষ অপত্তিজনক বিবেচনা না করায় তিনি আভাম সাহেবের কথায় কর্ণপাত করিলেন না। অধিকন্তু তিনি ডাক্তার মার্শম্যানকে আশ্বাস দিয়া বলিলেন যে, আমার নিজের কথা বলিতে হইলে, সতীদাহ প্রথা সম্পূর্ণরূপে উঠিয়া যায়, ইহাই আমার একান্ত অভিপ্রায়। পুর্ব্বেই বলা হইয়াছে, মুদাযন্ত্র তৎকালে দৃঢ়রূপে শৃঙ্খলাবদ্ধ ছিল। লর্ড হেষ্টিংস ভারতীয় মুদ্রাযন্ত্রকে সর্ব্বদা উৎসাহ দিতেন, কিন্তু ইংল্যাণ্ডের কর্তৃপক্ষীয়েরা এবং তাঁহার নিজ কাউন্সিলের সদস্যগণ তাহাকে নানাপ্রকার বাধা দিতেন, তিনি ভারতবর্ষে আসিবার সময় মুদ্রাযন্ত্র সম্বন্ধে অতি উদার মত লইয়া আসিয়াছিলেন। ভারত ইতিহাসের পাঠকগণ বিজিত আছেন যে ১৭৯৯ অব্দে যৎকালে টিপু সুলতানের সহিত যুদ্ধ চলিতেছিল,সেই সময়ে মুদ্রিতব্য বিষয়ের পাণ্ডুলিপি পরীক্ষার কঠোর নিয়মাবলী প্রবর্তিত হয়, অর্থাৎ সেন্সর প্রথার সৃষ্টি হয়। নিয়ম হন যে, “প্রত্যেক প্রিণ্টারকে নিজ কাগজের প্রত্যেক সংখ্যায় আপনার নাম সন্নিবিষ্ট করিতে হইবে এবং তাহা প্রকাশ করিবার পুর্বে তাহার একখণ্ড অনুলিপি গভর্ণমেণ্টের সেক্রেটারীর পরিদর্শনার্থ প্রেরণ করিতে হইবে, অন্যথা তাঁহাকে ইংল্যাণ্ডে প্রতিগমন