পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬১
কলিকাতার ইতিহাস।

এটিকে লোকসানের কারবার দেখিয়া ১৮৫৪ অব্দে অতি নামমাত্র মুল্যে মুদ্রাযন্ত্র ও কাগজের স্বত্ব বিক্রয় করিতে প্রস্তুত হন। তৎকালে হরীশ্চন্দ্র ইহার একজন প্রধান লেখক ছিলেন। তিনি দেখিলেন, তাঁর চিরপোষিত আকাঙ্ক্ষা পরিতৃপ্ত করার সুযোগ উপস্থিত, সুতরাং তিনি ইহার ক্রেতা হইলেন। কিন্তু এই সমস্ত ব্যাপর অতি গোপনে সমাহিত হই, কারণ তঁহার প্রভু মিলিটারি অডিটর জেনারেল আপনার অধস্তন কর্মচারীকে সংবাদপত্রের স্বাধিকারী ও সম্পাদক হইতে দিবেন এরূপ সম্ভাবনা অতি অল্পই ছিল। সুতরাং কার্য্যটা বেনামিতে হইল, এবং তাঁহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা হারানচন্দ্র মুখোপাধ্যায়কে সম্পাদক খাড়া করা হইল। কিন্তু কাগজ সম্পাদন ও পরিচালনের সমস্ত ভার হরাশের উপর পড়িল। ইহার জন্য তাঁহাকে অনেক দিন কঠোর (ক্লশ ভোগ করিতে হইয়াছিল; এমন কি, এক সময়ে এই দরিদ্র কেরানীকে ইহার ব্যয় সঙ্কুলনাথ আপনার সামান্য বেতন হইতে মাসিক প্রায় ৭০০ টাকা করিয়া ব্যয় করিতে হইত। তিনি বীরোচিত সাহসের সহিত অটলভাবে এই ক্লেশ সহ্য করেন, এবং অবশেষে তাঁহার কাগজের উন্নতির সহিত আয়েরও সচ্ছলতা ঘটে; পর তাহার অকালমৃত্যুতে তাহার পরিজনবর্গকে একটি সুন্দর সাহিত্যিক সম্পত্তির লাভভোগে বঞ্চিত হইতে হয়। অতঃপর মহাভারতের বাঙ্গালী অনুবাদক কালীপ্রসন্ন সিংহ কাগজখানি ক্রয় করিয়া লন এবং অতি সামান্য অর্থ দিয়। বেনামদারের দাবি মিটাইয়া দেন।” রামগোপাল সন্ন্যাল নিয়াছেন, মানুভব ফালী: প্রসন্ন সিংহ ৫০০০ টাকায় কাগজের স্বত্ব ক্রয়াকরিয়া পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের হস্তে উহার পরিচালনের ভার অর্পণ