পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৭০
কলিকাতার ইতিহাস।

হইয়া সমাজের গঠন ও সামাজিক অন্যান্য বিষয় জ্যামিতির অনু- শীলণীর প্রতিজ্ঞার স্যার বিচার করিয়া থাকেন। ফরাসী দার্শনিক মাল্ব্রনশের ন্যায় ইহারা কল্পনার প্রয়োগ করিয়া কল্পনার নিন্দা এইরূপে গোঁড়ামির সহায়তায় ইহার। সমাজের প্রাচীন নিয়মাবলী ও গঠন ভয়ানকভাবে বিপর্যস্ত করিয়া তুলেন।

 রাজা রামমোহন রায়ই বর্তমান বাঙ্গালা গদ্যের জনক বলা যাইতে পারে। তাছার গদ্য রচনা বেশ সরল ছিল। হিন্দু দর্শন- শাস্ত্রের জটিল বিষয়গুলি বাঙ্গালা সরল গদ্যে প্রকাশ করিয়া তিনি যেরূপ কৃতিত্বের পরিচয় প্রদান করিয়াছিলেন, তাহার পূর্বে আর কেহই তেমন পারেন নাই। রামমোহন রায় ১৮২১ অব্দে “ব্রাহ্মণ- পত্রিকা” নামে একখানি কাগজ বাহির করিতে আরম্ভ করেন। কাগজখানি অতি অল্প কাল জীবিত ছিল। কথিত আছে যে, উহার লেখা অতি তেজস্বী ছিল। উহার আক্রমণ প্রধান মিশনারি- দিগের বিরুদ্ধেই চালিত হইত। সমাচারচন্দ্রিকার প্রভাব খর্ব্ব করার নিমিত্ত সংবাদ-কৌমুদী নামে, একখানি সংবাদপত্র প্রচা- রিতরন রামমোহন রায় এবং পণ্ডিত গৌরীশঙ্কর তর্কবাগীশ তার সম্পাদক ছিলেন। বঙ্গদূত নামে আরও একখানি কাগজ ছিল, আর মার্টিন দ্বারকানাথ ঠাকুর ও প্রসন্নকুমার ঠাকুরের সহিত মিলিত হই। রামমোহন রায় উহা চালাইতেন। রামমোহন সংস্কৃত, পারসী ও আরবী ভাষা আয়ত্ত করিছিলেন; তদ্ভিন্ন বঙ্গপুরে কলেক্টরে অফসে চাকরি করার সময় তিনি এরূপ অধ্যবসায় ও যত্নের সহিত ইংরেজী শিখিতে প্রবৃত্ত হন যে, কয়েক বৎসরের মধ্যেই তিনি মনোবিজ্ঞান ও ঈশ্বরতত্ত্ববিষয়ক দুরূহ গ্রন্থ সকলও বুঝিতে সমর্থ হন। তিনি ভারতের নানাস্থানে ভ্রমণ