পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৭২
কলিকাতার ইতিহাস।

বাঙ্গালায় অনেক নূতন নূতন বৈজ্ঞানিক শব্দের ব্যবহার প্রচলিত করি গিয়াছেন। তিনি সাতিশয় কোমলস্বভাব, দয়া, অমায়িক, অধ্যয়নরত ও শান্তিপ্রিয় ছিলেন। তিনি নীরবে দেশের উন্নতির কার্য করিয়া যাইতেন। তিনি ১৮২০ খৃষ্টাবে জন্মগ্রহণ করেন ও ১৮৮৬ খৃষ্টাব্দে কালগ্রাসে পতিত হন। বিজ্ঞান ও অন্যান্য বিষয়ে তিনি যে সকল গ্রন্থ লিখিয়াছেন, সেগুলি কেবল কলিকাতার কেন, বঙ্গদেশের সর্বত্রই অল্পবয়স্ক ছাত্রদিগের পাঠ্যপুস্তকরূপে মহাসমাদরে গৃহীত হইয়াছে।

 কি ইংরেজী কি বাঙ্গালা, উভয় প্রকার সংবাদপত্র পরিচালনক্ষেত্রেই ৺ কেশবচন্দ্র সেন যেরূপ শ্রম স্বীকার করিয়া গিয়াছেন, তাহা অতীব মহনীয়। ইণ্ডিয়া মিরর পত্রের সম্পাদনে তিনি কিরূপ সহকারিতা করিয়াছিলেন, তাহা পূর্বেই উল্লিখিত হইয়াছে। রবিবারের মিরর তাঁহারই যত্নে প্রকাশিত হয়। ঐ কাগজে প্রথম প্রথম কেবল তত্ত্ব ও মানবের কতই আলোচিত হইত। তিনি বাঙ্গালায় “সুলভ সমাচার” নামে এক পয়সা মূল্যের একখানি কাগজ বাহির করেন; সুত্রাং যাইতে পারে যে, তিনিই বঙ্গদেশে সুলভ সংবাদ পত্রের প্রকৃত জন্মদাতা। উহা “নববিধান” হইতে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বাঙ্গালা সাহিত্যও গ্রহণ করে। বাঙ্গালা সাহিত্যের পরিপুষ্টি ও উন্নতিকল্পে উহার যত্নচেষ্টা সবিশেষ প্রশংসার যোগ্য, সন্দেহ নাই। সংসারে কি হইতেছে না হইতেছে এ তত্ত্বের সংবাদ যাহারা রাখেন, তাহারা অবশ্যই লক্ষ্য নির থাকিবেন যে, বাঙ্গালা সাহিত্যের উন্নতি সাধনকল্পে আড়ম্বরবিহীন ব্রহ্মেরা অকাতরে পরিশ্রম করিয়াছেন। বোধ হয়, কেশবচন্দ্র সেন হইতেই বাঙ্গালায় বক্তৃতাপ্রচারের সৃষ্টি। সময়ে সময়ে লেখা