পাতা:কলিকাতার ইতিহাস.djvu/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দশম অধ্যায়।
৩২৯

 পানীয় সম্বন্ধে এক ব্যক্তি লিখিয়াছেন;—নিত্য প্রয়োজনীয় সাংসারিক দ্রব্যজাতের মধ্যে মদ্যই সর্বাপেক্ষা অধিক ব্যয়সাধ্য, কারণ প্রচলিত রীতি বলিয়াই হউক, অথবা ঔষধরূপেই হউক, সামান্য ভৃত্য পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যক্তিই প্রতিদিন এক এক বোতল মদ্য পান করে, আর ভদ্র লোকেরা তাহার চতুর্গুণ পান করেন। বীয়ার ও পোর্টার পিত্তজনক বিবেচিত হওয়ায় অতি অল্পই ব্যবহৃত হইত। ম্যাডীরা ও ক্লারেট এই দুইটিই অতি প্রিয় পানীয় ছিল, তবে সাইডার এবং পেরিও কখন কখন পানীয়রূপে ব্যবহৃত হইত। মহিলারা প্রতিদিন এক এক বোতল ক্ল্যারেট পান করিতেন, আর ভদ সাহেবরা পাঁচ টাকা বোতলের তিন চারি বোতল খাইয়া ফেলিতেন। ২০ বৎসর পূর্বে যখন কতকগুলি লোক মফস্বল অঞ্চলে প্রত্যহ এক ডজন বীয়ার খাইয়াও কিছু হইল না বলিয়া মনে করিত, সে বীয়ার-পান-প্রবৃত্তি অপেক্ষাও ইহা বহুগুণে নিকৃষ্ট। দেশী বীয়ার নামে আর এক প্রকার পানীয়ের প্রচলন ছিল। এতৎ সম্বন্ধে এক ব্যক্তি লিখিয়াছেন;—“আহারের সময়ে কৃত্রিম উপায়ে শীতলীকৃত মদ্য পান করা হইয়া থাকে বটে, তথাপি গ্রীষ্মঋতু উপযোগী দেশী বীয়ার নামক এক প্রকার উপাদেয় পানীয় সচরাচর ব্যবহৃত হইয়া থাকে। অন্ততঃ এরূপ সময়ে, বিশেষতঃ ‘কালিয়া’ ভোজনের পর, এতাদৃশ তৃপ্তিজনক পানীয় আর নাই। সমগ্র পানীয়ের এক-পঞ্চমাংশ পেস্টার বা বীয়ার, এক গেলাস তাড়ি, কিঞ্চিৎ খাঁড় গুড় এবং একটু আদা বাটা অথবা ক মা লেবুর বা পাতি লেবুর শুস্ক খোসা এই কয়েকটী দ্রব্য একত্র মিশ্রিত করিয়া দেশী বীয়ার প্রস্তুত করা হয়।”

 গৃহসজ্জা সম্বন্ধে মিসেস কিণ্ডার্সলি লিখিয়াছেন;—“গৃহসজ্জা